
সিরিয়ায় আইএস (ইসলামিক স্টেট)–বিরোধী অভিযানের সময় সন্ত্রাসী হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও এক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও তিন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন। হামলার জেরে যুক্তরাষ্ট্র ‘কঠোর প্রতিশোধ’ নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর পালমিরার কাছে মার্কিন ও সিরীয় বাহিনীর একটি যৌথ অভিযানের সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল জানান, অভিযানে অংশ নেওয়া মার্কিন সেনারা তখন স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। এ সময় আইএসের এক বন্দুকধারী অতর্কিত হামলা চালায়। পাল্টা অভিযানে ঘটনাস্থলেই ওই হামলাকারী নিহত হন। নিহত মার্কিন সেনাদের নাম ও ইউনিটের পরিচয় পরিবারকে অবহিত না করা পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যও আহত হয়েছেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, 'বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যারা মার্কিন নাগরিকদের লক্ষ্য করবে, তাদের পরিণতি ভয়াবহ হবে।'
স্থানীয় তিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামলাকারী সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। তবে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, ওই ব্যক্তি বাহিনীর কোনো নেতৃত্বস্থানীয় পদে ছিলেন না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নুরেদ্দিন আল-বাবা আল-ইখবারিয়া টিভিকে জানান, গত ১০ ডিসেম্বর একটি মূল্যায়নে ওই ব্যক্তির মধ্যে চরমপন্থি চিন্তাধারা থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এ বিষয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল।
এদিকে, হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ‘কঠোর প্রতিশোধের’ হুঁশিয়ারি দেন। তিনি নিহতদের ‘তিনজন মহান দেশপ্রেমিক’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প এই হামলাকে ‘ভয়াবহ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার সেনাদের রক্তের জবাব দেবে।
আমার বার্তা/জেএইচ

