মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দুই পরিবারের স্বেচ্ছাচারিতায় রাস্তা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক পরিবার। চলাচল রাস্তার সুবিধা দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (০২ অক্টোবর) বিকাল ৪ টা ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মোহাম্মদ আলী প্রধান প্লাজার সামনে কর্মসূচি পালন করে ভুক্তভোগী পরিবারের তিন শতাধিক সদস্য । মানববন্ধন শেষে সামাজিক সুবিধার দাবিতে আন্দোলন কারী জনতা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলটি আব্দুল্লাহপুর গ্রাম থেকে শুরু হয়ে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ডে এসে শেষ হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া দোলোয়ার হোসেন, জানান শুধুমাত্র দুইটি পরিবারের জন্য আমরা প্রায় একশত পরিবারের ছয় শতাধিক সদস্য অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছি। বারংবার তাদেরকে রাস্তার জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে অনুরোধ করা হলেও তারা আমাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখন জনগণের রাস্তার জায়গা বন্ধ করে উক্ত জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করার পরিকল্পনা করছে । তাই বাধ্য হয়ে আমাদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি' পালন করছি। জসিম উদ্দিন, নামে অপর একজন জানান' মাত্র দুটি পরিবারের জন্য একশত পরিবারের মানুষ জিম্মি হয়ে রয়েছে। দুটি পরিবারে আপত্তিতে ১০০০ ফুট রাস্তার ৮২ ফুট বাদে বাকী অংশের কাজ শেষ হয়েছে দীর্ঘদিন। আমাদের অবস্থা এরকম একজন মানুষ মারা গেলে মৃত লোকের লাশ নিয়ে বের হওয়া সম্ভব না। একজন লোক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে রাস্তার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে আমরা আজকে মাঠে নেমেছি। একই অসুবিধার দাবি জানিয়েছেন সুফিয়া সহ একাধিক নারী পুরুষ।ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন বাউশিয়া বহুমুখী উন্নয়ন সমিতি মার্কেটের পিছনে যারা বসতি তৈরি করেছেন তারা মূলত বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা মানুষ। শুরুতে বিক্ষিপ্তভাবে বসতি তৈরি করলেও বর্তমানে এটি একটি গ্রাম যার নাম আব্দুল্লাহপুর। গত কয়েক বছর আগে স্থানীয়দের সম্মতিতে গ্রামের ভেতর দিয়ে এক হাজার ফুট দৈর্ঘ্যের একটি রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। সরকারি বরাদ্দে সমিতি মার্কেটের পেছন থেকে পারুল ডাক্তারের বাড়ি পর্যন্ত ১০০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও অলিউল্লাহ তাঁতি এবং মজিবুর তাতী নামের দুই পরিবারের বাঁধার মুখে ৮২ফুট অংশের কাজ করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি ওই দুই পরিবারের সদস্যরা রাস্তাটির এই অংশ দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে থাকলে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
আমার বার্তা/এমই