
পুকুর খননের সময় বাধা দিতে গিয়ে ভেকুর নিচে পড়ে (এক্সকাভেটর) মারা যান তার স্বামী। পরিবারের দাবি, ফসলি জমিতে পুকুর খননে বাধা দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মোহনা বেগম বলেন, ‘আমি কতবার বলেছি যেও না। বলল, যাব আর একটু পরেই ফিরে আসব। কিছুক্ষণ পরেই খবর এলো আমার স্বামী মারা গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামীর মরা মুখটাও দেখতে পাইনি। তার আগেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিহত জুবায়েরের বাড়ি থেকে মাত্র ২০ গজ দূরে কবর খনন হচ্ছে। স্থানীয় সাত-আটজন যুবক কবর খননের কাজ করছেন। চারপাশে ভেসে আসছিল স্বজনদের কান্নার রোল। নিহতের খবর পেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আত্মীয়স্বজনরা বাড়িতে ছুটে এসেছেন। এখনো লাশ পাননি স্বজনেরা।
এ সময় নিহতের মা কোহিনুর বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে শেষবার কোনো কথা হয়নি। এখনো তার মরা মুখটা দেখতে পাইনি। শুনেছি লাশ থানায় আছে। এরপর রাজশাহী হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে, তারপর বাড়িতে আনা হবে।’
এর আগে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের বড় পালশা গ্রামে পুকুর খননের সময় এক্সকাভেটরের নিচে পড়ে আহাম্মেদ জুবায়েরের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ ভেকু চালক আবদুল হামিদকে (২৮) আটক করে। তিনি টাঙ্গাইল জেলার কাদিমহামজানি উত্তরপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘ভেকুর বাকেটের আঘাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে নিহতের বাবা থানায় এসে মামলা করবেন। একজনকে আটক করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
আমার বার্তা/এল/এমই

