
দুইশ ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বৃহস্পতিবার ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নগরীর বংশাল এলাকা থেকে মো. নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, উক্ত বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান থাকাকালীন নজরুল ইসলাম অন্যান্য আসামিদের সাথে যোগসাজশে ৩৬ তোপখানা রোডে ৩৩.৫৬ শতাংশ জমি ও ভবন ক্রয়-বিক্রয় করে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোম্পানির নামে ২০৭ কোটি টাকা অর্জন করেন।
অর্থের অবৈধ উৎস গোপন করার জন্য তিনি বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ৪৫ কোটি টাকা স্থানান্তর করেন।
এই অর্থের মধ্যে নজরুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী মিসেস তাসলিমা ইসলাম বিক্রেতাদের সাথে যোগসাজশে ১৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
দুদক নজরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং মামলার আরও বিস্তারিত তথ্য, যার মধ্যে অন্যান্য ব্যক্তির জড়িত থাকার তথ্যও রয়েছে, উদ্ঘাটনের জন্য ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন এবং আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা যায় উক্ত ঘটনার পর দেশে বীমা দাবি নিষ্পত্তিতে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং বীমা গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, যা নগদ ঘাটতি, অনিয়ম এবং দুর্নীতিতে জর্জরিত বীমাকারীদের ভঙ্গুর অবস্থা প্রকাশ করে।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ের শেষ নাগাদ দেশে মাত্র ২৭.১২ শতাংশ বীমা দাবি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আর্থিক দিক থেকে, বীমাকারীরা ৯৮২০ কোটি টাকার মোট দাবির বিপরীতে ২৬৬৩ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যার সর্বোচ্চ ২৯৭৬ কোটি টাকার মোট দাবি ছিল, তার মাত্র ৫৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা নিষ্পত্তি করেছে, যা নিষ্পত্তির অনুপাতে মাত্র ১.৯৬ শতাংশ। যার ফলে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ।
আমার বার্তা/এল/এমই

