ই-পেপার শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

বেড়েছে ব্রয়লারের দাম, স্বস্তি মাছের বাজারে

আমার বার্তা অনলাইন
১১ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফের বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। ঈদের পর দাম কমে গেলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এদিকে হঠাৎ করেই দামের এই ঊর্ধ্বগতিতে বিস্মিত হচ্ছেন ক্রেতারা। তবে মাছের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল থাকায় সেখানেই কিছুটা স্বস্তি খুঁজছেন তারা। এদিকে গরু ও খাসির মাংসের দাম আগের মতোই রয়েছে, কিন্তু ঈদের রেশ না কাটায় সেখানে নেই তেমন বিক্রি।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রীসহ আশেপাশের একাধিক বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫–১৭০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহেও সেটি ছিল ১৪৫–১৫০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ কেজিতে ১৫–২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৮০ টাকা।

গত বছরের সেপ্টেম্বরেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ব্রয়লার মুরগির জন্য সর্বোচ্চ ১৮০ টাকা দাম নির্ধারণ করেছিল। এক বছর না যেতেই আবার সেই দামের কাছাকাছি চলে এসেছে বাজার।

রামপুরা বাজার গিয়ে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দোকানে ভিড় অনেকটাই কম। মুরগির দোকানে দাঁড়িয়ে আছেন গৃহিণী হাসিনা আক্তার। পাশ থেকে হাঁক ডেকে বললেন, “ভাই, এই তো গত সপ্তাহে তো ১৫৫ টাকায় কিনেছি, আজকে হঠাৎ ১৭৫ বলছেন ক্যান? সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা বাড়া কি স্বাভাবিক?” দোকানি মো. রিয়াজ উদ্দিন মুখে কিছুটা বিরক্তি নিয়ে জবাব দিলেন, “ আমরা তো নিজেরা দাম বাড়াই না। ফার্ম থেকেই এখন ১৬০–১৬৫ টাকা পড়ছে। আমাদের যদি ১০ টাকা লাভ না থাকে, চলবে কীভাবে? আমরাও তো কষ্টে আছি।”

রেজাউল করিম নামের এক পোশাককর্মী বলেন, “তিনদিন আগেও অফিসের পেছনের গলির দোকানে ১৫০ টাকা কেজি ছিল। আজ বলল ১৭০! বাসায় বাচ্চাদের জন্য কিনি, নিজেরা তো যা পাই তা দিয়েই চলে। এত দাম দিলে তো মুরগিও বাদ দিতে হবে!”

তিনি বলেন, “এতদিন মুরগি ১৪০-১৫০ টাকার মধ্যে ছিল, আমার মতে এটাই ছিল ব্রয়লার মুরগির স্বাভাবিক দাম। এই দামে থাকলে গরিব ধনী সবাই নিজেদের চাহিদা মতো খেতে পারবে। কিন্তু মাঝেমধ্যেই হঠাৎ করে দাম কেন জানি বেড়ে যায়।”

বাজার পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করছেন, ফার্ম ও পরিবহনপর্যায়ে একটি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। যদিও খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন—বর্ষা মৌসুমে সরবরাহে কিছুটা বিঘ্ন এবং ফিডের মূল্যবৃদ্ধিই দাম বাড়ার পেছনে মূল কারণ। মুরগি বিক্রেতা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, “দাম বাড়ছে ফার্ম থেকে। আমরা আগে যেখানে ১৪৫–১৫০ টাকায় কিনতাম, এখন সেখানে কিনতে হচ্ছে ১৬০–১৬৫ টাকায়। আমাদের যে খরচ, তাতে অন্তত ১৫ টাকা লাভ না রাখলে ব্যবসা টিকবে না। এই দামে বিক্রি করতেই বাধ্য হচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “কোনো কোনো গ্রাহক ভাবছেন আমরা ইচ্ছে করে দাম বাড়িয়েছি। কিন্তু আমরাও বিপদে। পরিবহন খরচ, শ্রমিক, দোকান ভাড়া—সবমিলিয়ে ন্যূনতম লাভেই চলছি।”

বনশ্রী এ ব্লক এলাকার বাজারে গিয়ে দেখা গেলো সকালের মাছের বাজার অনেকটাই জমজমাট। মাছের দোকানগুলোতে তাজা রুই, কাতল, পাবদা সাজানো। দাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে বাজারে রুই ও কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩০০–৩৪০ টাকা কেজিতে। পাবদা ৩৫০–৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০–৭০০, টেংরা ৬০০–৭০০, শিং ৪০০–৪৫০, কৈ ২০০–২২০ এবং তেলাপিয়া–পাঙ্গাস পাওয়া যাচ্ছে ১৮০–২০০ টাকায়। দেশি শিং ও কৈ মাছের দাম অবশ্য এখনও অনেক বেশি—প্রতি কেজি যথাক্রমে ১২০০ ও ১০০০ টাকা।

বাজার করতে আসা শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বললেন, “আজকের বাজারে মুরগির দাম একটু বেড়েছে। গরু-খাসির দাম তো অনেক বেশি। সেই তুলনায় আমার মত নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য মাছ এখন সবচেয়ে ব্যালান্সড অপশন।”

মাছ বিক্রেতা হুমায়ুন কবির বললেন, “ঈদের পর এখন লোকজন মাংস থেকে সরে মাছেই ঝুঁকছে। দামও বাড়েনি, আবার ভালো মাছ মিলছে, তাই বিক্রিও ভালো।”

শ্যামল মিয়া নামক আরেক বিক্রেতা জানান, “মাংস-মুরগির বাজারে দাম বাড়ছে, আর আমরা মাছওয়ালারা একটু স্বস্তিতে আছি। রুই কাতল আগের মতোই আছে, তাই মানুষ আসছে। পাবদা, তেলাপিয়া ভালো যাচ্ছে।”

এদিকে ঈদের এক সপ্তাহ পেরোলেও এখনও রাজধানীর অধিকাংশ পরিবারে কোরবানির মাংস আছে। সেই কারণে গরু, খাসি ও ছাগলের মাংসের দোকানগুলোতে এখনো ক্রেতার অভাব। রামপুরা বাজারের মাংস ব্যবসায়ী মো. কবির হোসেন বলেন, “ঈদের পর এমনটা হতেই পারে, তবে এবার একটু বেশি সময় ধরে লোকজন মাংস কিনছে না। দাম কমেনি—গরু ৭৫০–৭৮০, খাসি ১১০০ আর ছাগল ১০০০ টাকায় বিক্রি করছি। কিন্তু বিক্রি নেই বললেই চলে। যারা কোরবানি দেয়নি, তারাও মাছ-মুরগিতে চলে গেছে।”

আমার বার্তা/জেএইচ

কিছু বিষয় অমীমাংসিত রেখেই শেষ হলো দ্বিতীয় দিনের আলোচনা

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান তিন দিনের শুল্ক আলোচনার দ্বিতীয় দিন শেষ হয়েছে। বৈঠকে দুই

বাংলাদেশের পর্যটনে করণীয়

সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়, নীতিগত সংস্কার ও বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা চাই বাংলাদেশের পর্যটন এক নতুন

পোশাকশিল্পে শ্রম-নেতৃত্ব ও বিজিএমইএ’র মধ্যে মতবিনিময় সভা

পোশাক শিল্পে স্থিতিশীল শ্রম পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চায় বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাথরঘাটায় ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে জামায়াত কর্মীর উপর দুর্ধর্ষ হামলা

বাঞ্ছারামপুরে ৩৬ জুলাই শহীদদের স্মরণে খেলাফত মজলিসের আলোচনা

ফ্লাইট ছাড়ার আগে অচেনা ফোনকল, বিমানে বোমা থাকার হুমকি

পুরান ঢাকায় নৃশংস সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪

কল্পনার কারাগার

১১ জুলাই শান্তিপূর্ণ কোটা সংস্কার আন্দোলন রূপ নেয় প্রতিরোধে : আসিফ মাহমুদ

মেলান্দহে বৃক্ষরোপন ও বিতরণ

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠানো সাহসী সিদ্ধান্ত : শিশির মনির

জামায়াতের সঙ্গে জোটের সুযোগ নেই, এনসিপির জন্য আলোচনার দরজা খোলা

শ্রীলঙ্কার জালে ৯ গোল দিয়ে সাফ শুরু বাংলার মেয়েদের

আমরা ইতিহাসের বিশেষ একটি সময় অতিবাহিত করছি : গোলাম পরওয়ার

শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে পুশ ইন বিএসএফের

আজকের মাইরের পর থেকে ছাত্রলীগের নামও মুখে নিবো না: চবি নেতা

২৪ ঘণ্টায় পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৪১৮

ইরানের কাছে মজুদ ইউরেনিয়াম নিয়ে শঙ্কিত ইসরায়েল

পেট্রোল-অকটেন কখন ভরতে হয় জানেন না বেশিরভাগ মানুষ

ভালো মাইলেজ পেতে স্কুটারের যত্ন নেবেন যেভাবে

কানাডার ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান দুর্নীতির মামলায় কারাগারে

শিখতে হবে আরও, শ্রীলঙ্কার কাছে হার টের পাইয়ে দিলো বাস্তবতা