পাবনার সাঁথিয়ায় গ্রাহকদের প্রায় ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জনতা ব্যাংক পিএলসির বনগ্রাম শাখার ব্যবস্থাপক ও মুখ্য কর্মকর্তা হেমায়েত করিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করা হলেও রোববার (১৯ অক্টোবর) বিষয়টি জানাজানি হয়।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, টাকা আত্মসাতের বিষয়টি জানার পর হেমায়েত করিমকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় শাখার নতুন ব্যবস্থাপক মো. ফরিদুজ্জামান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার আতাইকুলা থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ সেই মামলায় হেমায়েত করিমকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
ওই শাখার নতুন ব্যবস্থাপক মো. ফরিদুজ্জামান বলেন, গ্রাহকদের কাছ থেকে অভিযোগ গ্রহণ করা হচ্ছে এবং বিভাগীয় তদন্ত চলছে। অভিযোগ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, করিম কৌশলে গ্রাহকদের আমানত ব্যাংকে জমা না করে আত্মসাৎ করতেন। বিষয়টি প্রথম ধরা পড়ে গত বুধবার। ওই দিন সাগরদাড়ি গ্রামের ব্যবসায়ী আবদুস সালাম ব্যাপারী টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন, তার হিসাবে থাকা ৪১ লাখ টাকা নেই। বিষয়টি জানাজানি হলে অন্য গ্রাহকরাও হিসাব পরীক্ষা করে একই অনিয়মের অভিযোগ তোলেন।
বিষয়টি ব্যাংকের পাবনার জেলা কার্যালয়কে জানানো হলে কর্মকর্তারা এসে ঘটনার সত্যতা পান। এ নিয়ে রাতভর যাচাই-বাছাই শেষে বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত হেমায়েত করিমকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আর নতুন ব্যবস্থাপক হিসেবে মো. ফরিদুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
টাকা খোয়ানো ব্যবসায়ী আবদুস সালাম ব্যাপারী জানান, গরুর ব্যবসার জন্য তার সব টাকা জনতা ব্যাংকের বনগ্রাম শাখায় রেখেছিলেন। গত বুধবার দুপুরে ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন তার হিসাব থেকে ৪১ লাখ টাকা উধাও হয়ে গেছে।
আমার বার্তা/এল/এমই