
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার মানোন্নয়নে পাঁচ বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প ২০২৮ সালে গ্রহণ করা হবে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)- এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ- এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে জাইকার একটি প্রতিনিধিদল এ আগ্রহের কথা জানায়।
সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, প্রফেসর ড. মো. সাইদুর রহমান, প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জেসমিন পারভিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাইকার উপ-মহাপরিচালক দাইসুকে উয়েদার নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়।
জাইকার ধারণাপত্র অনুযায়ী প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ সরাসরি যুক্ত হবে জাপানের শীর্ষ গবেষণা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। প্রকল্পের আওতায় যৌথ গবেষণাগার (ল্যাব) বিনিময় ও ব্যবহারের সুযোগ, পোস্টগ্রাজুয়েট পর্যায়ে যৌথ ডিগ্রি প্রোগ্রাম, আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য জাপানে ইন্টার্নশিপ, শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের পিএইচডি বৃত্তি, শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন ও চাকরির সুযোগ এবং শিল্প-অ্যাকাডেমিয়া সংযোগ জোরদারে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জাইকার প্রতিনিধি দাইসুকে উয়েদা জানান, প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা খুব শীঘ্রই শুরু করা হবে। এরই অংশ হিসেবে তাঁরা ইতোমধ্যে দেশের শীর্ষ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন এবং তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন।
সভায় দাইসুকে উয়েদা বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করবে। এ সময়ে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং শিল্পবৈচিত্র্যের চাহিদা দ্রুত বাড়বে। তিনি মনে করেন, এ পর্যায়ে উচ্চশিক্ষাকে আরও শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি। তাই জাইকার এ প্রকল্প উচ্চশিক্ষার কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ফায়েজ জাইকার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর গবেষণা, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা এগিয়ে যাবে। শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিকমানের যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে, যা শ্রমবাজারেও বড় প্রভাব ফেলবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার মানোন্নয়নে ইউজিসি সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে। পাশাপাশি প্রকল্পে আরও বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানান।
আমার বার্তা/এমই

