
থাইল্যান্ডে চলছে মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসর। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তানজিয়া জামান মিথিলা। এখন্সময় আছে মাত্র একদিন, এরপরেই জানা যাবে কার মাথায় উঠতে যাচ্ছে ‘মিস ইউনিভার্স ২০২৫’-এর মুকুট।
গত বুধবার রাতেই শেষ হয়েছিল ভোট দেওয়ার সুযোগ। কিন্তু মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সদ্য জানালো, পিপলস চয়েসে ভোট দেওয়ার সময় কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) রাত ১০ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ভোট দেওয়া যাবে। এখন পিপলস চয়েস এক্সটেন্ড অপশনে গিয়ে বাংলাদেশকে ভোট দেওয়া যাবে।
এখন চলছে প্রিলিমিনারি পর্ব, সেখানে নিজেকে প্রতিযোগীতার শর্তানুযায়ী নিজেকে মেলে ধরছেন মিথিলা; প্রত্যকে প্রতিযোগীকেই নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সেশনে পরীক্ষা।
তবে গত বুধবার মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার মঞ্চে ন্যাশনাল কস্টিউম হিসেবে মিথিলা বেছে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের নারীদের প্রধান পোশাক শাড়ি; দেশের ঐতিহ্য বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে পছন্দ করেছেন সাদা জামদানি। শুধু তাই নয়, জামদানি শাড়ির মোটিফে আছে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা।
সেই পারফরম্যান্স শেষে গত বুধবার দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের অনুভূতি শেয়ার করেন মিথিলা। এ সময় তাকে বেশ আবেগপ্রবণ দেখা যায়। মিথিলা বলেন, ‘ন্যাশনাল কস্টিউম সবার কাছে কেমন লেগেছে? আশা করি, সবার ভালো লেগেছে, মনের মতো হয়েছে। বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে এই কস্টিউম বেছে নিয়েছি। আমার মনে হয়, ন্যাশনাল কস্টিউমে বাংলাদেশকে কেউ এভাবে তুলে ধরল।’
পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি হ্যাপি, কারণ আমার পারফরম্যান্সও খুব ভালো হয়েছে। সবাই খুব প্রশংসা করেছে।’
দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে সেই লাইভে আরও আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন মিথিলা। বলেন, ‘স্টেজ থেকে নামার পর আজকে আমার খুব কান্না আসছে। অনেক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। এই অনুভূতি প্রকাশ করার মতো নয়। মঞ্চে যখন থাকবেন এবং নিজের দেশকে উপস্থাপন করা কত বড় সাহস আর শক্তির প্রয়োজন, সেটা তখনই উপলব্ধি করা যায়।’
এদিকে, প্রিলিমিনারি পর্বে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মিথিলা। ভোট নিয়ে যদিও লাইভে হতাশাও প্রকাশ করেছিলেন খানিকতা। তাই, এই প্রিলিমিনারি পর্বে এবার সুইমস্যুট পর্বে নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই চালাতে দেখা গেল মিথিলাকে। নীল বিকিনিতে নিজেকে মেলে ধরছেন; প্রশংসা পেয়েছেন ভক্ত শুভাকাঙ্ক্ষীদের। এখন তারা অপেক্ষায়, কার মাথায় ওঠে ‘মিস ইউনিভার্স ২০২৫’-এর মুকুট।
আমার বার্তা/এমই

