
ভারতের শিলিগুড়ি ও আশপাশের এলাকায় বাংলাদেশের নাগরিকদের হোটেলে থাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন স্থানীয় হোটেল মালিকরা। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কিছু নেতার ভারতবিরোধী বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে।
গ্রেটার শিলিগুড়ি হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তটি গত বছরের ডিসেম্বর মাসে জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞারই সম্প্রসারণ। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে আমাদের সদস্য হোটেলগুলো বাংলাদেশিদের থাকার ব্যবস্থা বন্ধ করেছিল। তবে মানবিক কারণে স্টুডেন্ট ও চিকিৎসা ভিসায় ভারতে আসা বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে সহিংসতা এবং ভারতবিরোধী বক্তব্যের কারণে আমরা সব বাংলাদেশিদের জন্যই হোটেলে থাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি।
হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় শিলিগুড়ি ও আশপাশে প্রায় ১৮০টি হোটেল রয়েছে এবং সব হোটেলই এই সিদ্ধান্ত মেনে চলছে বলে জানান উজ্জ্বল ঘোষ।
পাশাপাশি, সংস্থার সদস্য না হওয়া আরও প্রায় ৫০টি হোটেল স্বেচ্ছায় একই সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে বলে জানা গেছে।
শিলিগুড়ি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। চিকিৎসা ও শিক্ষার উদ্দেশ্যেও বহু বাংলাদেশি ওই অঞ্চলে যান।
উজ্জ্বল ঘোষ আরও বলেন, সম্প্রতি ভারত বাংলাদেশে ভিসা কেন্দ্র বন্ধ করেছে। তবে ভবিষ্যতে ভিসা দেয়া হলেও আমাদের সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত থাকবে। তারা এখানে নানা পরিষেবা নেন, অথচ ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলেন–এটা আর চলতে পারে না।
এদিকে, মালদা জেলাতেও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে চিন্তা চলছে। মালদা হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী জানান, ‘বাংলাদেশিদের হোটেলে প্রবেশ বন্ধ করার প্রস্তাব নিয়ে আমরা সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেব।’
সূত্রের খবর, মালদা জেলায় ওই সংস্থার আওতায় প্রায় ২৫০টি হোটেল রয়েছে।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
আমার বার্তা/এল/এমই

