বাংলাদেশ-ইসোয়াতিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি মোরশেদুল আলম চাকলাদারকে বাংলাদেশে ইসোয়াতিনি রাজ্যের অনারারি কনসাল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিযুক্ত করা হয়েছে।তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক সেক্টরে অবদান রেখে চলেছেন। তার নেতৃত্বে রয়েছে বিমান, ব্যাংকিং, রিয়েল এস্টেট, লজিস্টিক ব্যবসা এবং কমিউনিটি পরিষেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাত।
রোববার (১৯ অক্টোবর) ইসোয়াতিনির রাজা তৃতীয় মসোয়াতি কর্তৃক অনুমোদনের পর ইসোয়াতিনি রাজ্যের রাজকীয় সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই নিয়োগ প্রদান করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মোরশেদুল আলম কে বাংলাদেশের মধ্যে কনস্যুলার দায়িত্ব পালন এবং ইসোয়াতিনির স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য অফিসিয়াল এক্সিকিউটর জারি করে পূর্ণ কূটনৈতিক স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
অনারারি কনসাল মূলত একটি স্বেচ্ছাসেবী কাজ । নব নিযুক্ত অনারারি কনসাল জেনারেল অব ইসোয়াতিনি অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।মূল দায়িত্বগুলির মধ্যে থাকবে বাণিজ্য মিশনগুলিকে সহজতর করা, পর্যটন প্রচার করা, বাংলাদেশে ইসোয়াতিনির নাগরিকদের সহায়তা করা এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করা।
এই নিয়োগ পাওয়ার পর মোরশেদ চাকলাদার বলেন, "ইসোয়াতিনি আমার উপর আস্থা রাখার জন্য আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি এবং বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃতির জন্য আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । আমি এটিকে আমাদের দুই জাতির মধ্যে বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক সমৃদ্ধির একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের একটি অনন্য সুযোগ হিসেবে দেখছি। সহযোগিতার নতুন পথ অন্বেষণ করতে এবং ইসোয়াতিনি এবং বাংলাদেশকে আরও কাছাকাছি আনতে আমি অক্লান্ত পরিশ্রম করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
এক নজরে ইসোয়াতিনি : এটি দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সুন্দর, স্থলবেষ্টিত রাজ্য। আফ্রিকার সবচেয়ে ছোট দেশ ও এটি। ইসোয়াতিনি তার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, প্রাণবন্ত ঐতিহ্য, কয়লা ও সোনার খনির কাজ, শিক্ষা এবং অত্যাশ্চর্য প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য পরিচিত। এটি দক্ষিণ আফ্রিকান উন্নয়ন সম্প্রদায় (SADC) এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন (AU) এর সদস্য। দেশের অর্থনীতি কৃষি, উৎপাদন এবং ক্রমবর্ধমান পরিষেবা খাত দ্বারা চালিত।
আমার বার্তা/এমই
