ই-পেপার রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২

প্রবাসী আয়ের উপর বহুলাংশে নির্ভরশীল বাংলাদেশ

কমল চৌধুরী:
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:২৯

বাংলাদেশ সরকার প্রবাসী আয়ের উপর প্রত্যক্ষভাবে বহুলাংশে নির্ভরশীল।তবে সদ্য শেষ হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যা বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী আয় দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের চেয়ে যা ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি।প্রবাসীরা গত জুনে অর্থাৎ কোরবানির মাসে রেকর্ড ২৫৪ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। বিদ্যমান বিনিময় হার অনুসারে তা প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩ সালের একই মাসে ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। সে হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ মাসে রেমিট্যান্সে ১৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর পুরো অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সদ্য শেষ হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুর দিকে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় বিপর্যয় হয়েছিল। বিশেষ করে গত আগস্টে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৬০ কোটি ডলার। সেপ্টেম্বরে সেই প্রবাহ ১৩৩ কোটি ডলারে নেমে যায়। মূলত ডলারের বিনিময় হার নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর হওয়ায় রেমিট্যান্সে বড় পতন হয়। পরে এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক উদার হলে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ফিরে আসে। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ৩৯১ কোটি বা ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল। সে হিসাবে সদ্য গত হওয়া অর্থবছরে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এক্ষেত্রে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেড়েছে ২৩০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার।

তবে গত অর্থবছরে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ছাড়া দেশের প্রধান সব শ্রমবাজার থেকেই আশঙ্কাজনক হারে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। বিশেষ করে সৌদি আরব থেকে তা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। অথচ গত তিন বছরে সৌদিসহ প্রধান শ্রমবাজারগুলোয় রেকর্ডসংখ্যক বাংলাদেশী শ্রমিক অভিবাসী হয়েছেন।

বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে জীবিকার সন্ধানে অভিবাসী হয়েছেন রেকর্ড ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ বাংলাদেশী। এর আগে ২০২২ সালে অভিবাসী বাংলাদেশীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩ জন। অর্থাৎ গত দুই বছরে ২৪ লাখের বেশি বাংলাদেশী কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশ গেলেও সে অনুপাতে রেমিট্যান্স বাড়েনি। চলতি বছরেও একই হারে শ্রমিকরা অভিবাসী হচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ যাবতকালে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ ছিল ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। এরপর পরের অর্থবছর তথা ২০২১-২২-এ রেমিট্যান্স ২১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেমিট্যান্স ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়ে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, অর্থবছরের শুরুর দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা শ্লথ থাকলেও শেষ দিকে এসে বেশ ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তার প্রভাব অর্থনীতির সূচকগুলোয়পড়েছে। দেশে ডলারের পরিস্থিতিও পুরোপুরি স্বাভাবিক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে। আশা করছি, নতুন অর্থবছরে রিজার্ভ বাড়বে।

গত ৭ মে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এই প্রথম সদর দপ্তর জেনেভার বাইরে ঢাকায় তাদের দ্বিবার্ষিক বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন আইওএমের মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০০ সালে বৈশ্বিক প্রবাস আয় ছিল ১২৮ বিলিয়ন ডলার, যা বেড়ে ২০২২ সালে দাঁড়িয়েছে ৮৩১ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ ২২ বছরে প্রবাস আয় বেড়েছে ৬৫০ শতাংশ।এর মধ্যে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর আয় ছিল ৬৪৭ বিলিয়ন ডলার। আইওএমের মহাপরিচালক বলেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন এখনো মানব উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালক হিসেবে ভূমিকা রাখছে। ঢাকাকে প্রতিবেদনটি প্রকাশের স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে অভিবাসন সমস্যা মোকাবেলা করা এবং অভিবাসীদের অধিকার রক্ষা নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরাপদ, নিয়মতান্ত্রিক এবং নিয়মিত অভিবাসন নিয়ে গ্লোবাল কম্প্যাক্টের চ্যাম্পিয়ন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ তার জোরালো অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে, যা আইওএমের কৌশলগত লক্ষ্যের সঙ্গে মিলে যায়। আইওএমের এই প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্বের ষষ্ঠ অভিবাসী কর্মী প্রেরণকারী দেশ হলেও রেমিট্যান্স প্রাপ্তির দিক থেকে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে।২০২২ সালে বাংলাদেশের প্রাপ্ত রেমিট্যান্স ছিল ২১.৫০ বিলিয়ন ডলার। প্রথম স্থানে থাকা ভারতের রেমিট্যান্স ছিল ১১১.২২ বিলিয়ন ডলার, দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মেক্সিকো ৬১.১০ বিলিয়ন, তৃতীয় অবস্থানে চীন ৫১ বিলিয়ন, চতুর্থ অবস্থানে ফিলিপাইন ৩৮.০৫ বিলিয়ন, পঞ্চম অবস্থানে ফ্রান্স ৩০.০৪ বিলিয়ন, ষষ্ঠ অবস্থানে পাকিস্তান ২৯.৮৭ বিলিয়ন এবং সপ্তম অবস্থানে থাকা মিসরের রেমিট্যান্স ছিল ২৮.৩৩ বিলিয়ন ডলার। প্রাপ্ত তথ্য মতে, রেকর্ডসংখ্যক প্রায় ১২ লাখ কর্মী পাঠিয়েও ২০২৩ সালে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স হিসেবে পেয়েছিল ২১.৮২ বিলিয়ন ডলার।২০২২ সালে বাংলাদেশের প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২১.৫০ বিলিয়ন ডলার এবং অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৩৬ হাজার।অন্যদিকে ভারত ২০২২ সালে ১৩ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠিয়ে রেমিট্যান্স পেয়েছিল ১১১.২২ বিলিয়ন ডলার। প্রথম স্থানে থাকা ভারতের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় যে, দুই দেশ থেকে প্রতিবছর পাঠানো কর্মীর সংখ্যার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য না থাকলেও বাংলাদেশের রেমিট্যান্স ছিল ভারতের এক-পঞ্চমাংশ। অর্থাৎ অভিবাসীর সংখ্যা বাড়লেই সেই অনুপাতে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাবে তেমনটি নয়। মূলত রেমিট্যান্স আসে প্রবাসে স্থায়ীভাবে বসবাসরত ও অস্থায়ীভাবে কর্মরত একটি দেশের সব নাগরিকের কাছ থেকেই। যেমন একটি বছর বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের মোট সংখ্যা, অধিক আয়ের দেশে বাংলাদেশি অভিবাসীর হার, তাদের মধ্যে দক্ষ বাংলাদেশির হার এবং অর্জিত আয়ের কত অংশ বৈধ পথে প্রেরণ করে, সেসবের ওপর রেমিট্যান্স বৃদ্ধি নির্ভর করে।অর্থাৎ দক্ষ কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি, অধিক আয়ের দেশে কর্মী প্রেরণ এবং অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করা গেলে রেমিট্যান্স বাড়বেই। এই তিনটি বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা গেলে আমাদের রেমিট্যান্স প্রাপ্তির পরিমাণ যে বর্তমানের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়ে যাবে, তাতে সন্দেহ নেই।

এদিকে মালয়েশিয়ায় যাওয়া আমাদের অভিবাসীদের নিয়ে গত ২ মে কালের কণ্ঠে ‘মালয়েশিয়ায় প্রতারিত শ্রমিকদের দুর্দশা দেখার জন্য স্বাধীন সংস্থার প্রয়োজন’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পড়ে যতটুকু বোঝা গেল তা হলো, মালয়েশিয়ায় ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে নিয়োগ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানো হয়েছে। ওই সব কর্মীর প্রত্যেকে রিক্রুটিং এজেন্টদের কমপক্ষে ২৫ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত দিয়েছে, যা তাদের ঋণ করতে হয়েছে। কোনো কাজ না থাকায় আয়ও হচ্ছে না, অথচ ঋণের বোঝা বেড়েই চলছে। ফলে তারা মানসিক অশান্তি ও হতাশায় ভুগছে। এই প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ, অর্থাৎ উভয় দেশের লোকজন জড়িত রয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে যেসব এজেন্ট কর্মী প্রেরণ করেছে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবশ্যই ওই এজেন্টদের সম্পর্কে জানে। অন্যদিকে অভিবাসন ব্যয় একটা গ্রহণযোগ্য সীমার মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয়। শুধু অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করে দিলেই সরকারের দায়িত্ব পালন করা হয় না, যথাযথ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা আবশ্যক। একটা কথা মনে রাখতেই হবে যে অভিবাসী কর্মিবান্ধব পদ্ধতি অনুসরণ করা ছাড়া স্বল্প অভিবাসন ব্যয় নিশ্চিত করা যেমন কখনো সম্ভব নয়, তেমনি মালয়েশিয়ার মতো অন্যান্য দেশে উদ্ভূত অভিবাসী কর্মীদের দুর্দশা ও পীড়ন থেকে বাঁচানোর কোনো পথও খোলা নেই।

গত ৮ মে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদে আগামী পাঁচ বছরে ৬০ লাখ কর্মীকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরো জানান, অধিক হারে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ১৭৬টি দেশে কর্মী পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তাঁদের পরিকল্পনা নিঃসন্দেহে একটি বাস্তবমুখী পদক্ষেপ এবং প্রশংসনীয়। গত বছর প্রেরিত অভিবাসী কর্মিসংখ্যার আলোকে বলা যায়, আগামী পাঁচ বছরে ৬০ বা ৭০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানো অসম্ভব কিছু নয়। ফলে আমাদের রেমিট্যান্স প্রাপ্তির পরিমাণ কিছুটা বাড়তেও পারে, যেমনটি ২০২৩ সালে সামান্য বেড়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন হলো, প্রতিবেশী ভারত আমাদের প্রেরিত কর্মিসংখ্যার সমান কর্মী পাঠিয়ে কিভাবে আমাদের থেকে চার-পাঁচ গুণ রেমিট্যান্স অর্জন করে, তা জানা। সেই বিষয়টি নিয়ে আমরা কেন ভাবছি না? সেই উত্তরটির মধ্যেই সব সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব। শুধু কর্মী প্রেরণের সংখ্যাই নয়, বিশ্ব শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় দক্ষ কর্মী প্রেরণে গুরুত্ব দিতে হবে।আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে বিশ্ব শ্রমবাজার অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং পরিবর্তনশীল। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই নেতিবাচক জন্মহার পরিলক্ষিত হচ্ছে, যুবক শ্রেণির লোকসংখ্যা আনুপাতিক হারে কমে যাচ্ছে। অনেক উন্নত অর্থনীতির দেশেই কৃষি, নির্মাণ, পরিচ্ছন্ন ইত্যাদি ক্ষেত্রের কাজগুলো করার জন্য স্থানীয় লোকবলের অভাব দিন দিন প্রকট হয়ে উঠছে। আবার অনেক দেশে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি সংশ্লিষ্ট কাজের লোকজনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু আমরা কি ওই সব তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের বিদেশে যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের সেসব চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি? আমরা কি ওই সব দেশে আমাদের প্রশিক্ষিত কর্মীদের প্রেরণের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি? একদিকে আমাদের সেই দক্ষ কর্মিবাহিনী প্রস্তুত করে রাখতে হবে, অন্যদিকে আমাদের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রচেষ্টার প্রয়োগের মাধ্যমে অধিক আয়ের সেসব বাজার ধরতে হবে এবং আমাদের কর্মীদের অভিবাসী কর্মিবান্ধব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সেসব দেশে প্রেরণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আমাদের যতই বিলম্ব হবে, আমাদের অভিবাসী কর্মীদের দুর্ভোগ ততই বাড়বে এবং সর্বশেষে আমাদের রেমিট্যান্স প্রাপ্তির পরিমাণ বর্তমানের মতোই হোঁচট খাবে।তাই বর্তমান সরকারকে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও কবি।

আমার বার্তা/কমল চৌধুরী/এমই

বিদায়ী বছরের ইতিবৃত্ত ও নতুন বছরের সূচনা

ঘড়ির কাঁটা ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে পেরোতে থাকে সময়। সেকেন্ড-মিনিট-ঘণ্টার হিসাব রূপান্তরিত হয় দিন-মাস-বছরে। সূর্যোদয় এবং

অসৎ, অতিরিক্ত লোভী এবং পরশ্রীকাতর, সমাজের জন্য অদৃশ্য ক্ষতির উৎস

মানবজীবনে নৈতিকতার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু অসৎ মনোভাব, অতিরিক্ত লোভ, এবং পরশ্রীকাতরতা ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনে

ড. গোলাম আবু জাকারিয়া : চিকিৎসা পদার্থবিদ্যার বিশ্ববাঙালি

বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। ক্যান্সার শুধু একজন ব্যক্তির নয়, তার

প্রশাসনিক সংকট ও ভবিষ্যতের করণীয়: একটি সুষম বিশ্লেষণ

বাংলাদেশের প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা, যা দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিফলন হিসেবে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজধানীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে রাজমিস্ত্রির মৃত্যু

রাজধানীতে গলায় ফাঁস দিয়ে সোনালী ব্যাংকের এজিএমের আত্মহত্যা

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়িচাপায় ভ্যানের ২ যাত্রী নিহত

ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য বেতনকাঠামো তৈরি করেছি: ধর্ম উপদেষ্টা

দুই মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ওএসডি

নতুন বছরে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা

আতশবাজি ও পটকা ফাটানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

নাশকতা নয় বৈদ্যুতিক লুজ কানেকশন থেকে সচিবালয়ে আগুন

সমস্যা-অনিয়ম উত্তরণে কাজ করছি, প্রয়োজন সবার সহযোগিতা

আপনাদের আম্মু ফিরে আসবে না, রিয়েলিটি মাইনে নেন: হাসনাত

বাহাত্তরের সংবিধান বাতিলের প্রয়োজন নেই: নুরুল হক নুর

বিএনপি নেতা আবু নাছের আর নেই

রিজার্ভ চুরির অর্থ দেশে ফেরাতে ফিলিপাইনের সহযোগিতা কামনা

নতুন বছরের প্রথম দিন বিশ্বের জনসংখ্যা পৌঁছাবে ৮০৯ কোটিতে

চিন্ময়সহ ইসকনের ২০২ অ্যাকাউন্টে জমা ২৩৬ কোটি টাকা

প্রস্তুতি সম্পন্ন, বুধবার বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

মার্চ ফর ইউনিটিতে গণহত্যার বিচার চাইলেন সারজিস আলম

১৫ জানুয়ারির মধ্যে অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পাঠ করতে হবে

ঢামেকের টয়লেটে পড়েছিল মস্তকবিহীন নবজাতকের মরদেহ

পাঁচ মাসেও বিচার না পাওয়ায় আক্ষেপ আলভির বাবার