ই-পেপার বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ত্যাগ: বাংলাদেশের জন্য সংকেত এবং ভবিষ্যৎ বিশ্লেষণ

রহমান মৃধা:
২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৯

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্টের শপথ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই পদক্ষেপ গোটা বিশ্ব, বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে গভীর প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত বহন করে। ভবিষ্যতে আমাদের কী করণীয়, তা এখনই বিশ্লেষণ করা জরুরি।

বাংলাদেশের জন্য সংকেত

১. গ্লোবাল স্বাস্থ্যব্যবস্থায় সংকট: যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যক্রমে আর্থিক সংকট সৃষ্টি করবে। এর প্রভাব সরাসরি বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর ওপর পড়বে, যারা টিকা কর্মসূচি এবং রোগ প্রতিরোধে ডব্লিউএইচওর সহায়তা পেয়ে থাকে।

২. ভবিষ্যৎ মহামারির প্রস্তুতি দুর্বল হওয়া: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তহবিল সংকট মানে বৈশ্বিক রোগপ্রতিরোধ উদ্যোগ দুর্বল হওয়া। বাংলাদেশের মতো দেশ, যেখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মহামারির ঝুঁকি বেশি, তাদের প্রস্তুতি ব্যাহত হতে পারে।

৩. বিশ্ব স্বাস্থ্য সহযোগিতা হ্রাস: মহামারির মতো সমস্যায় আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বই সমাধান। যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়া এই সহযোগিতার ভিত্তিকেই দুর্বল করবে, যার প্রভাব বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের ওপর পড়বে।

বাংলাদেশের নাগরিকদের ভূমিকা এবং করণীয়

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত শত শত বাংলাদেশি চিকিৎসক, গবেষক ও স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ আছেন। তাঁদের অর্জিত দক্ষতা জাতীয় পর্যায়ে কাজে লাগানো অত্যন্ত জরুরি।

• কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা: সরকার ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই বিশেষজ্ঞদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে হবে। তাঁরা রোগপ্রতিরোধ, মহামারি নিয়ন্ত্রণ এবং নতুন টিকা তৈরিতে নেতৃত্ব দিতে পারেন।

• দায়িত্বের সুনির্দিষ্টতা: এই বিশেষজ্ঞদের জন্য স্পষ্ট দায়িত্ব নির্ধারণ এবং তাঁদের অভিজ্ঞতাকে স্থানীয় চাহিদার সঙ্গে মিলিয়ে কাজে লাগাতে হবে।

প্রশ্ন রয়ে যায়, তাঁরা এত দিন দেশের জন্য কী করেছেন? ভবিষ্যতে তাঁদের কর্মদক্ষতা কীভাবে জনস্বার্থে আরও কার্যকর হতে পারে? এর উত্তর সরকার ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিহিত।

কীভাবে আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে

১. স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন:

• বাজেট বৃদ্ধি: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও স্থায়ী তহবিল তৈরি।

• গবেষণা ও উন্নয়ন: নিজস্ব সক্ষমতায় টিকা তৈরির উদ্যোগ।

২. বহুপক্ষীয় অংশীদারত্ব:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়াও গ্যাভি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করা।

৩. মহামারির জন্য প্রস্তুতি:

জাতীয় পর্যায়ে শক্তিশালী রোগপ্রতিরোধ পরিকল্পনা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি।

কোন পৃথিবীতে আমরা বাস করছি এবং কীভাবে বাস করতে চাই?

আমরা এমন এক পৃথিবীতে বাস করছি, যেখানে বৈশ্বিক সহমর্মিতা অনেক সময় রাজনৈতিক স্বার্থের কাছে হার মানে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি, প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা এবং কর্মীদের মধ্যে ডেডিকেশনের অভাব উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে।

কিন্তু আমরা কীভাবে এই চিত্র বদলাতে চাই?

• দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন: শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি কার্যকর করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

• প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি: কর্মীদের জন্য আধুনিক প্রশিক্ষণ, তদারকি ও পারফরম্যান্স মূল্যায়ন চালু করা।

• সার্বিক উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টা: সরকার, জনগণ ও বেসরকারি খাতের সমন্বয়ে একটি কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ।

• শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ: এগুলোতে অগ্রাধিকার দিয়ে কর্মসংস্থান ও দক্ষ কর্মী তৈরি করা।

আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে বৈষম্য নেই, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন আছে এবং প্রত্যেক নাগরিকের উন্নয়নের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়। এটি সম্ভব শুধু সম্মিলিত প্রচেষ্টা, দায়িত্ববোধ এবং সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে।

আপনার মতামত কী? বাংলাদেশ এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেবে?

লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন।

আমার বার্তা/জেএইচ

হাদির ওপর হামলা, শান্তির পথে কাঁটা ছড়াচ্ছে কারা?

বহু প্রতীক্ষা ছিল। নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছিল দেশ। নির্বাচন কমিশন ‘তফসিল’ ঘোষণা করল। নির্বাচনের ট্রেন

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট

জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা একটি জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রের অপরিহার্য দায়িত্ব। তবে, বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান

এনটিআরসিএ নামকরণের সার্থকতা যথেষ্ট যৌক্তিক

NTRCA এর পূর্নাঙ্গ রূপ N= Non, T= Trusted, R= Researches and, C= Corrupted,  A= Authority.

ভূমিকম্প কেন হয় এবং নরসিংদী এর কেন্দ্র কেন? এ নিয়ে কিছু কথা

ভূমিকম্প সৃষ্টি হয় ভূত্বকের গভীরে। ভূমিকম্প যেখানে সৃষ্টি হয়, তাকে বলা হয় ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু। কেন্দ্রবিন্দু
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠাচ্ছে ইইউ

দূষিত শহরের তালিকায় আজ চতুর্থ ঢাকা, শীর্ষে সারায়েভো

বাংলাদেশে ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা

তেঁতুলিয়ায় এক সপ্তাহ ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

আরও ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

গাজার ধ্বংসস্তূপে মিলল সালেম পরিবারের ৩০ সদস্যের লাশ

ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার শ্যুটার ফয়সলের মা-বাবা গ্রেপ্তার: র‍্যাব

আমাকে বিদায় দিতে কেউ এয়ারপোর্টে যাবেন না: তারেক রহমান

১৭ ডিসেম্বর ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা

আইপিএল নিলাম: ৯ কোটি ২০ লাখে কলকাতা নাইট রাইডার্সে মোস্তাফিজ

এখনও সংকটাপন্ন হাদির অবস্থা, চিকিৎসকদের চোখ ‘টাইম উইন্ডোতে’

দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না: প্রধান উপদেষ্টা

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিশ্চিতে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার

হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় কার্ভাডভ্যানের চাপায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

মালয়েশিয়ায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন

আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

বিজয় দিবসে ৪০ মিনিট বিরতির পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক

চাপে রয়েছে শেয়ারবাজার, অনিশ্চয়তায় আটকে বিনিয়োগকারীরা

২৪ ব্যাংকের নিরাপত্তা সঞ্চিতি ঘাটতি সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা