বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমারকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরাশক্তিগুলো তাদের প্রভাব বলয়ে রাখার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। সামরিক জান্তার ক্ষমতা গ্রহণের পর পশ্চিমা বিশ্ব মিয়ানমারের উপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারনে মিয়ানমার রাশিয়া ও চীনের দিকে আরও ঝুঁকে পড়ে। ভারত ও চীন মিয়ানমারে তাদের বিনিয়োগ ও স্বার্থ রক্ষায় যোগাযোগ শুরু করে। মিয়ানমারের দিকে আমেরিকারও দৃষ্টি রয়েছে। মিয়ানমারে ভু-কৌশলগত অবস্থান ও মিয়ানমারের প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদের কারনে দেশটির উপর রাশিয়া ও আমেরিকার আগ্রহ বাড়ছে। চলমান সংঘাত স্বত্বেও মিয়ানমার কূটনৈতিক ভাবে সাফল্যের সাথে প্রায় সব শক্তিধর দেশের সাথে সম্পর্ক রাখার পাশাপাশি নিজস্ব স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখছে।
মিয়ানমারের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক বেশ পুরানো। মিয়ানমার এবং রাশিয়া ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭৫ তম বার্ষিকী উদযাপন করে। রাশিয়া মিয়ানমারের ভাল বন্ধু এবং অন্যতম প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী। মিয়ানমারে রাশিয়ার উপস্থিতি ও আগ্রহ রয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমার এবং রাশিয়া ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, বাণিজ্য এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ায়। রাশিয়া এবং চীন উভয়ই মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রির উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বানের বিরোধিতা করেছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার তৈরি অস্ত্র কেনার আগ্রহের কারণে মিয়ানমার ও রাশিয়া একে অপরের কাছাকাছি আসতে শুরু করে। ২০২১ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দুটি দেশের সম্পর্ক, সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও গতি লাভ করে। রাশিয়া মিয়ানমারকে পশ্চিমা বিশ্বের আরোপিত কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করেছে।
জান্তা প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন আং হ্লাইং ক্ষমতা গ্রহণের পর চার বার রাশিয়া সফর করে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়া মিয়ানমার বিমানবাহিনীকে ছয়টি সু ৩০ এস এম ই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে যা চলমান সংঘাতে মিয়ানমারের বেসামরিক জনগণের ওপরও ব্যবহার করা হচ্ছে। রাশিয়া রাখাইন রাজ্যে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। মিয়ানমার সরকার রাশিয়াকে এশিয়ার বাজারে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি পরিবহন অবকাঠামোতে বিনিয়োগ ও শিল্প সহযোগিতারও আহ্বান জানায়।
আসিয়ানের সাথে মিয়ানমারের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে মিয়ানমার সরকার রাশিয়া ও চীনের নেতৃত্বে থাকা বহুপাক্ষিক ফোরামগুলোর সাথে নিজেদেরকে যুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমার, ব্রাজিল-রাশিয়া-ভারত-চীন-দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে গঠিত ব্রিক্সের আনুষ্ঠানিক সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছে। রাশিয়া-মিয়ানমার বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক পঞ্চম আন্তঃসরকারি কমিশনের সভায় মিয়ানমার সরকার রাশিয়ান নেতৃত্বাধীন ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নে (ইএইইউ) যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে, যাতে মিয়ানমারের পণ্য ইউরোপীয় বাজারে প্রবেশ করতে পারে। বেলারুশ সফরের সময় মিন অং হ্লাইং রাশিয়ান নেতৃত্বাধীন ইএইইউ—এ পর্যবেক্ষক হিসেবে মিয়ানমারের অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানায়। এই দুই সংস্থাতেই মিয়ানমার বর্তমানে ডায়ালগ পার্টনার। মিয়ানমার তার জ্বালানি খাতে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্যদের কাছ থেকে বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে এবং ব্রিক্স এর নতুন উন্নয়ন ব্যাংকের মাধ্যমে আর্থিক ঋণের নেয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে।
২০১১ সালে জেনারেল মিন অং হ্লাইংকে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত করার পর রাশিয়ার সাথে মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও উন্নত হয়। রাশিয়া এবং চীন উভয়ই মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রির উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বানের বিরোধিতা করেছে। ২০২১ সালের ১৮ জুন, রাশিয়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সদস্য দেশগুলিকে মিয়ানমারে সমস্ত অস্ত্র স্থানান্তর বন্ধ করার আহ্বান জানানোর একটি প্রস্তাবের ভোট দানে বিরত থেকে চীনের সাথে যোগ দেয়। সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে, রাশিয়া মিয়ানমারকে সামরিক সহায়তার বৃহত্তম সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে। ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে রাশিয়া মিয়ানমারকে ২৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সামরিক সরবরাহ করেছে। রাশিয়ান বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি মিয়ানমারে ৪০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রতিরক্ষা সরবরাহ স্থানান্তর করেছে।
রাশিয়া তার উৎপাদিত পণ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বাজারজাত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এজন্য রাশিয়া ভারতের ভেতর দিয়ে মিয়ানমার হয়ে একটি বাণিজ্য করিডর গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে এবং মিয়ানমার ও রাশিয়া ভারতকে এই নতুন প্রকল্পে যুক্ত করতে চাইছে। এটি এক উচ্চাভিলাষী ত্রিপক্ষীয় প্রস্তাব, যা নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত এবং অর্থসংকটে থাকা মিয়ানমার সরকারের জন্য একটি সহায়ক ব্যবস্থা হতে পারে। এই করিডরের অন্যতম লক্ষ্য মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটানো। এই ত্রিপক্ষীয় করিডর বাস্তবায়িত হলে এটি রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক পথ খুলে দেবে।
২৮ তম আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে মিয়ানমারের যোগাযোগ ও পরিবহনমন্ত্রী জেনারেল মিয়া তুন উ ইয়াঙ্গুনকে রাশিয়ার এশিয়া অঞ্চলে রপ্তানির জন্য কৌশলগত ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে তুলে ধরে, রাশিয়া থেকে পণ্য ইয়াঙ্গুন বন্দরের মাধ্যমে স্থল ও রেলপথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য গন্তব্যে পাঠানো যেতে পারে বলে জানায়।
মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং, ৩ মার্চ থেকে ৫ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত মস্কো সফর করে এবং সফরের সময় বাণিজ্য, ব্যাংকিং, খনি, তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন, শিক্ষা এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে দশটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে মিয়ানমার এবং রাশিয়া মিয়ানমারে ১১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ছোট মডুলার রিঅ্যাক্টর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য একটি আন্তঃসরকারি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা ৩৩০ মেগাওয়াট পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা যাবে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারীতে মিয়ানমার এবং রাশিয়া দাউই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য একটি স্মারকলিপি স্বাক্ষর করে, যার মধ্যে রয়েছে একটি গভীর সমুদ্র বন্দর, তেল শোধনাগার এবং ৬৬০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিকল্পনা। বর্তমানে এগুলোর সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। চলমান এই সংঘাতের মধ্যেই মিয়ানমার সরকার মহাকাশ সংস্থা গঠন করেছে। জেনারেল মিন অং হ্লাইং এর রাশিয়া সফরের পর রাশিয়ার সহযোগিতায় মিয়ানমার স্পেস এজেন্সি (এমএসএ) নামে এই সংস্থা গঠন করা হয়। রাশিয়া সফরের সময় স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের মধ্যে এই মহাকাশ সংস্থা গঠনের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। এই সমঝোতার আওতায় রাশিয়ার সহায়তায় মিয়ানমার মহাকাশে শান্তিপূর্ণ কর্মকাণ্ড চালাবে। রাশিয়ার সহায়তায় মিয়ানমারে একটি স্যাটেলাইট ডেটা গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এই নতুন সহযোগিতার ফলে জান্তা রাশিয়া থেকে স্যাটেলাইট ভিত্তিক গোয়েন্দা সহায়তা পেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রও মিয়ানমারের চলমান ঘটনা প্রবাহের উপর নজর রাখছে। মিয়ানমার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বার্মা এক্টে বলা হয়েছে যে, আমেরিকার মূল লক্ষ্য হল মিয়ানমারের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের পথ পুনরুদ্ধার করা, যা দেশের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করবে এবং মার্কিন স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের বার্মা এক্ট মিয়ানমারের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলির জন্য অ-প্রাণঘাতী সহায়তার বিধান অনুমোদন করে। আমেরিকা মিয়ানমারে সংঘাতের শান্তিপূর্ণ অবসান ঘটাতে এবং গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন ত্বরান্বিত করার জন্য আরও সক্রিয় এবং কার্যকর কৌশল গ্রহণ করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মিয়ানমারের সম্পর্ক তেমন উল্লেখযোগ্য না হলে ও সম্প্রতি মিয়ানমার জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং ট্রাম্পের শাসনামলের এবং মিয়ানমারের সংঘাত নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলো বন্ধ করার জন্য ট্রাম্পের প্রশংসা করে একটি চিঠি পাঠায়। এর পর পরই যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সেনা শাসক মিন অং হ্লাইংয়ের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তি ও তাদের সাথে সম্পর্কিত কেটি সার্ভিসেস অ্যান্ড লজিস্টিকস, মিয়ানমার কেমিক্যাল অ্যান্ড মেশিনারি কোম্পানি এবং সানট্যাক টেকনোলজিস- এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে আগের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনাকারী ব্যক্তিদের নামও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এ থেকে মিয়ানমার জান্তা সরকারের প্রতি মার্কিন মনোভাবের কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমারের দুর্লভ খনিজ সম্পদ পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও এটি আমেরিকার মিয়ানমার নীতিতে কোনও বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত নয় এবং এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলার সময় এখনো আসেনি ।
যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিমান ও উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্র তৈরিতে প্রয়োজনীয় দুর্লভ খনিজ সংগ্রহে চীনের উপর থেকে নির্ভরতা কমাতে মিয়ানমারের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে। মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশের চিপুই এবং পাঙ্গোয়া নামের দু'টি শহর রেয়ার আর্থের বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় পুরোটাই জোগান দেয়। এই দু'টি শহরেই প্রায় ৩৭০ টি রেয়ার আর্থ খনি রয়েছে যার নিয়ন্ত্রন এখন কাচিন ইন্ডেপেন্ডেন্স আর্মির হাতে। তবে আকরিক থেকে পরিশোধিত রেয়ার আর্থ তৈরী করার টেকনোলজি তাদের কাছে নেই চীন এই কাজ করে। চীন, কাচিন ইন্ডেপেন্ডেন্স আর্মিকে মোটা অংকের কমিশন দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা আকরিক চীনে নিয়ে সেখানে পরিশোধন করে সারা বিশ্বে সরবরাহ করে। বর্তমানে চীনের হাতে দুস্প্রাপ্য ও ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন রেয়ার আর্থের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ।
কাচিনের জাতিগত বিদ্রোহীরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানা যায়। যুক্তরাষ্ট্রও কাচিন ইন্ডেপেন্ডেন্স আর্মির সাথে সমঝতার মাধ্যমে কিভাবে এই বস্তুটি নেয়া যায় তা ভাবছে। মিয়ানমারের এই সীমান্ত এলাকা খ্রিস্টান অধ্যুষিত। এটা এখন চীনের প্রভাব বলয়ের মধ্যে পশ্চিমা বিশ্বের একটা শক্ত সমর্থকদের ঘাঁটি। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও কেআইএ-র মধ্যে স্বায়ত্তশাসনের ভিত্তিতে একটি চুক্তি করাতে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে। এতে চীনের প্রভাব কমবে এবং যুক্তরাষ্ট্র নিজস্ব খনিজ সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করতে পারবে। এই খনিজ একমাত্র ভারতের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো সম্ভব হবে কিন্তু বর্তমানে ভারতের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে আনার জন্য যে অবকাঠামো দরকার, তা অনুপস্থিত। চীন অবশ্যই এতে বাধা দেবে এবং একটা সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
সামনের দিনগুলোতে আঞ্চলিক শক্তিধর দেশগুলোর পাশাপাশি মিয়ানমারে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার উপর প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। নিবিড় পর্যবেক্ষণ, কূটনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
লেখক: মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষক।
আমার বার্তা/ব্রি. জে. (অব.) হাসান মো. শামসুদ্দীন/এমই