
মালয়েশিয়ায় বন্যায় ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে ৩২ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ৪৯টি সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বন্যার এমন পরিস্থিতির কথা জানা গেছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জুলকেফলি আহমদ জানান, গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত পেরলিসের তিনটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বন্যার কারণে সম্পূর্ণরূপে সেবা প্রদান বন্ধ করেছে।
এ ছাড়া দেশের আরও ১৯টি কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ করে তাদের সেবা অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। ২৭টি কেন্দ্র খোলা থাকলেও সেগুলো সীমিত বা পরিবর্তিত কার্যক্রমের মাধ্যমে সেবা দিচ্ছে।
ফেসবুক পোস্টে জুলকেফলি জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় ৩৪৫টি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। তারা আকস্মিক শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ (১৭৬টি), ত্বকের সংক্রমণ (৯২টি), তীব্র গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস (১৫টি) এবং কনজাংটিভাইটিস (৪টি) রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণকেন্দ্রে কোনো ভাইরাস বা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি।
এদিকে, বন্যায় এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩২,২০১ জনকে বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়েছে। সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য পেরলিস, যেখানে ৭,৫৯২ জন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। এর পরে পেরাকে ৬,৮১১ জন, কেলান্তানে ৬,৩৩৬ জন, কেদাহে ৪,৫৪৩ জন, তেরেংগানুতে ৩,৭৪১ জন, সেলাঙ্গরে ২,৭১৯ জন, পাহাংয়ে ৪৫৯ জন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
আমার বার্তা/এল/এমই

