
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, চিড়িয়াখানায় থাকা প্রাণীগুলোর যত্ন নেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি প্রাণীদের প্রতি মানবিক আচরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলোর যথাযথ যত্ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের সংরক্ষণের মাধ্যমে প্রাণিজগতে ইতিবাচক অবদান রাখতে হবে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানা পরিদর্শন শেষে ইন্টার প্রিটেশন সেন্টারে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় চিড়িয়াখানা জাতির একটি অমূল্য সম্পদ, যেখানে দেশের সভ্যতা, সংস্কৃতি ও আচরণের প্রতিফলন ঘটে।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি চিড়িয়াখানা গড়ে তুলতে চাই যা সবার জন্য হবে সুন্দর, শিক্ষণীয় ও বিনোদনমূলক।
দর্শনার্থীর আচরণ প্রসঙ্গে এই উপদেষ্টা বলেন, অনেক সময় দর্শনার্থীরা অতিরিক্ত আনন্দে প্রাণীদের উত্ত্যক্ত করে থাকেন। কোনো প্রাণীকে যেন উত্ত্যক্ত করা না হয় সে বিষয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা ও একই সঙ্গে দর্শনার্থীদের আরও সচেতন ও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
চিড়িয়াখানার আধুনিকায়নের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আধুনিকায়ন ছাড়া চিড়িয়াখানার সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। এ লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ও রংপুর চিড়িয়াখানা আধুনিকায়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়নের কাজ চলছে। প্রকল্পটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ অনুমোদন পেলে আধুনিকায়ন কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
এসময় উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে প্রকল্পের আওতায় প্রাপ্ত ৪০ কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়ে চিড়িয়াখানার জরুরি চাহিদা পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক বয়জার রহমান, কেন্দ্রীয় মুরগি খামারের পরিচালক জিনাত সুলতানা।
আমার বার্তা/এল/এমই

