
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আশপাশে ভবিষ্যতে কোনো অগ্নিকাণ্ড ঘটলে তা নিয়ন্ত্রণে ‘ফোম টেন্ডার’ রাখার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
এর আগে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করাসহ ভবিষ্যতে সতর্কতা হিসেবে কী কী করা যেতে পারে সে ব্যাপারে বেশকিছু সুপারিশ করে। এর মধ্যে ফোম টেন্ডারের ব্যবস্থা রাখা অন্যতম।
‘ফোম টেন্ডার’ কী
‘ফোম টেন্ডার’ বলতে সাধারণত অগ্নিনির্বাপণকারী বিশেষ যানকে বোঝানো হয়, যা পেট্রোলিয়াম শোধনাগার বা বিমানবন্দরের মতো স্থানে যেখানে আগুনের ঝুঁকি বেশি, সেখানে ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। এই যানটিতে ফোম (অগ্নিনির্বাপক রাসায়নিক মিশ্রণ) বহন করার জন্য একটি বিশেষ ট্যাঙ্ক থাকে, যা জলবাহী ফিল্ম-ফর্মিং ফোম (এএপএফএফ) বা অন্যান্য ধরনের ফোম দিয়ে আগুন নেভাতে সাহায্য করে।
ব্যবহার: ফোম টেন্ডারগুলো মূলত তেল, রাসায়নিক এবং অন্যান্য দাহ্য পদার্থের আগুন নেভানোর জন্য ব্যবহৃত হয়, যেখানে সাধারণ জল কার্যকর নাও হতে পারে।
বৈশিষ্ট্য: এর মূল বৈশিষ্ট্য হলো ফোম যৌগ বহন করার জন্য একটি অতিরিক্ত ট্যাঙ্ক এবং ফোম ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা।
সুরক্ষা: এতে আগুন নেভানোর অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যেমন- অগ্নিনির্বাপক, সাইরেন, এবং জরুরি আলো থাকে।
টেন্ডার প্রক্রিয়া: ‘ফোম টেন্ডার’ শব্দটি একটি বিশেষ যান কেনার জন্য সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার বা দরপত্র প্রক্রিয়াকেও বোঝাতে পারে।
আমার বার্তা/এল/এমই

