বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২-এর আওতায় বিধিমালা ২০২৫ গেজেট আকারে প্রকাশ করায় সন্তোষ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ (এফবিসিসিআই)।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সন্তোষ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পরিষদের উপদেষ্টা আবুল কাশেম হায়দার, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী খোকন, আহ্বায়ক জাকির হোসেন নয়ন, সদস্য সচিব জাকির হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জনবান্ধব করার উদ্যোগ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় ব্যবসায়ী সমাজ ও এফবিসিসিআই সংস্কারের দাবির ভিত্তিতে বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সারা দেশের চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে লিখিত প্রস্তাব সংগ্রহ করে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
গত ২০ মে সরকার বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ এর বিধিমালা ২০২৫ গেজেট আকারে প্রকাশ করে। বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা এই বিধিমালাকে স্বাগত জানাই।
বিধিমালার উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরা হয়-
» এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি, সহসভাপতি ও পরিচালকরা সাধারণ পরিষদের সদস্যদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন।
» পরিচালনা পর্ষদ হবেন ৪৬ সদস্যের। এর মধ্যে চেম্বার গ্রুপ ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ১৫ জন করে সদস্য নির্বাচিত হবেন।
» অতিরিক্ত ১২ জন সদস্য (মহিলা চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনসহ) বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও রাজস্বের ভিত্তিতে মনোনীত হবেন।
» পরপর দুবার পরিচালক নির্বাচিত হলে এক মেয়াদ বিরতি আবশ্যক।
» সকল চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে এফবিসিসিআই সাধারণ পরিষদের সদস্য হবেন।
আমার বার্তা/এমই