ই-পেপার বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

গাজায় হামলা থেমেছে, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতে থাকবে ২০০ মার্কিন সেনা

আমার বার্তা অনলাইন:
১০ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১৭

গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে এসেছে সরাসরি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে। মার্কিন সেনাদের মোতায়েনের মধ্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে এক যৌথ নিরাপত্তা কাঠামো, যাতে যুক্ত থাকবে মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশও। বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের নিশ্চয়তাই শেষ পর্যন্ত হামাসকে চুক্তিতে রাজি করাতে বড় ভূমিকা রেখেছে। সব মিলিয়ে, বহু প্রতীক্ষিত এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রাথমিক প্রস্তুতি এখন স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

পেন্টাগনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ২০০ সেনা ইতিমধ্যে ইসরায়েলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তারা সেখানে অবস্থান করবে মূলত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ এবং নিরাপত্তা সমন্বয়ের দায়িত্বে। এজন্য একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে। তবে এও স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, কোনো মার্কিন সেনা গাজার ভেতরে প্রবেশ করবে না।

মার্কিন সেনাদের সঙ্গে যুক্ত হবে কাতার, মিশর, তুরকিয়ে ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেনারা। এই দেশগুলোর সেনারাই গাজার ভেতরে প্রবেশ করে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখার কাজে অংশ নিতে পারে। যৌথ এই নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রের মূল উদ্দেশ্য হলো চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন না হয় তা নিশ্চিত করা। এ ধরনের একটি পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র কয়েক মাস ধরেই ‘জরুরি প্রয়োজন হলে’ বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত রেখেছিল।

হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা অবশেষে এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে পেরে সন্তুষ্ট। তবে কিছু অংশে পরিবর্তন আসতে পারে।" তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, "যতই ইতিবাচক অগ্রগতি হোক না কেন, এটি এখনো খুব নাজুক একটি সময়। বহু উপায়ে পরিস্থিতি আবার খারাপ হয়ে যেতে পারে।"

এদিকে, সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে এক মার্কিন কর্মকর্তা আগেই জানিয়েছিলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণের জন্য ওয়াশিংটন প্রায় ২০০ সেনা পাঠাবে। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আল-জাজিরার ওয়াশিংটন সংবাদদাতা হেইডি ঝৌ-কাস্ত্রো। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন, যদিও তাঁরা আবারও পরিষ্কার করেছেন যে কোনো মার্কিন সেনা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে না।

রয়টার্সও দুই মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই ২০০ সেনা যৌথ টাস্কফোর্সের মূল ভিত্তি গড়ে তুলবে। সেখানে মিশর, কাতার, তুরকিয়ে ও সম্ভবত সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেনারাও যুক্ত হবেন।

এখনো নির্ধারণ হয়নি, মার্কিন সেনারা ঠিক কোথায় অবস্থান করবে। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা একটি নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র স্থাপন করবে, যাতে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রক্ষা করা যায় এবং অপ্রত্যাশিত সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়।

সব মিলিয়ে, যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন নিয়ে যে দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তা ছিল, সেটি কাটতে শুরু করেছে। তবে এই চুক্তি কতটা টেকসই হবে, তা নির্ভর করছে শুধু কূটনৈতিক প্রতিশ্রুতির ওপর নয়, মাঠপর্যায়ে এই যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকারিতার ওপরও।

এদিকে, গাজায় বহু প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়েছে। শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি সরকার নিশ্চিত করেছে, তারা হামাসের সঙ্গে করা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ অনুমোদন করেছে।

আল জাজিরা আরবির গাজাভিত্তিক এক সংবাদদাতা জানিয়েছেন, অনুমোদনের পর থেকে কয়েক ঘণ্টা ধরে ইসরায়েলের বিমান হামলা বন্ধ রয়েছে। অবরুদ্ধ অঞ্চলের মানুষ আপাতত কিছুটা স্বস্তি পেলেও পরিস্থিতি এখনও অনিশ্চিত।

কারণ, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে সময় লাগবে আরও প্রায় ২৪ ঘণ্টা। অর্থাৎ, হামলা বন্ধ হওয়া স্থায়ী কি না তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

আমার বার্তা/এমই

যুদ্ধবিরতির পরেও গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল, নিহত বেড়ে ২৭৯

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পরেও গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত ১০ অক্টোবর দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি

বিশ্বে ক্ষুধার্তদের খাবার সরবরাহে ১৩ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি: জাতিসংঘ

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করে বলেছে, অর্থায়ন কমে যাওয়ায় ২০২৬ সালে তীব্র ক্ষুধার

আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস আজ

আজ ১৯ নভেম্বর আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস। প্রতি বছর দিবসটি পালিত হয় বিশ্বব্যাপী। একজন পুরুষ তার

খাশোগি হত্যাকাণ্ডের কিছুই জানতেন না সৌদি যুবরাজ: ট্রাম্প

সাংবাদিক জামাল খাশোগির ২০১৮ সালের হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সৌদি
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শততম টেস্টে ৯৯ রানে অপরাজিত মুশফিক

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাঁক সোজা করার দাবিতে মানববন্ধন

হোয়াইট হাউসে নৈশভোজে রোনালদোর প্রশংসা করে যা বললেন ট্রাম্প

গণতন্ত্র ছাড়া দেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই, সতর্ক করলেন মির্জা ফখরুল

কুয়েতে গৃহকর্মী নিয়োগের নামে মানব পাচারের অভিযোগ

নির্বাচনের শঙ্কা দূর করতে সরকার ও কমিশনকেই দায়িত্ব নিতে হবে

মালয়ে‌শিয়ায় কর্মী পাঠাতে ১০ শর্ত, কয়েকটিতে সরকারের শক্ত আপত্তি

খেলাপি ঋণ অবলোপন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সিদ্ধান্ত

যুদ্ধবিরতির পরেও গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল, নিহত বেড়ে ২৭৯

যে কোনো বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণ অপরিহার্য

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে শক্ত অবস্থানে থাকার আহ্বান মঈন খানের

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দূর্ঘটনায় প্রাণ গেল নারীর

তারেক রহমানকে কটূক্তির অভিযোগে কনটেন্ট ক্রিয়েটরের বিরুদ্ধে মামলা

প্লট-ফ্ল্যাট হস্তান্তরে বাতিল হলো পূর্বানুমতির শর্ত, গেজেট প্রকাশ

শ্রম আইন সংশোধন : যা যা জানা জরুরি

রমজানের আগেই বাড়ছে ছোলা-খেজুরসহ ৬ ভোগ্যপণ্যের আমদানি

একদিকে রায় অন্যদিকে মবক্রেসি, কিসের আলামত জানি না

সুনামগঞ্জের ছাতকে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৫

ক্লাউডফ্লেয়ার ডাউন, কোটি টাকার ক্ষতি

আমরা ট্রানজিশনাল পিরিয়ডে আছি- দোলাচল চলছে: ফখরুল