
শহীদ শরিফ ওসমান হাদীর খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কয়রা থানা ছাত্রদলের উদ্যোগে এক প্রতিবাদী মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কয়রা কপোতক্ষ মহাবিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মধুর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল চলাকালে শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের কণ্ঠে খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে নানা স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।
মশাল মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদী ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক। তাঁর নির্মম হত্যাকাণ্ড শুধু একটি পরিবার নয়, গোটা সমাজকেই নাড়া দিয়েছে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তারে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের প্রতি চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে ছাত্রদল এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে বলে তারা জানান।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কয়রা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফ বিল্লাহ সবুজ। তিনি বলেন, “শহীদ শরিফ ওসমান হাদীর হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদল রাজপথে থাকবে। অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।” তিনি প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত পরিচালনার আহ্বান জানান।
উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাহমুদ হাসান বলেন, “একটি সভ্য রাষ্ট্রে প্রকাশ্য হত্যাকাণ্ডের পরও অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে- এটি মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই দ্রুত বিচার নিশ্চিত হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়।” তিনি ছাত্রসমাজকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন, আম্মার হোসেন রাজু, আলমগীর হোসেন, সাইফুল্লাহ, মাশরাফি, মোস্তাকিম, ইয়াসিন, মোসাইব, আরাফাত হোসেন ও মিনারুল ইসলাম। বক্তারা বলেন, শহীদ হাদীর হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। তাঁরা দ্রুত আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান এবং এই ঘটনায় কোনো প্রকার রাজনৈতিক প্রভাব বা অবহেলা বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি সমাপ্ত করেন। এ সময় তারা ঘোষণা দেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদলের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনে বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

