আগামী বছর কোনো এজেন্সির হজযাত্রী ২ হাজার না হলে সৌদি আরবের সঙ্গে সরাসরি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। হজযাত্রী ২ হাজারের কম হলে লিড এজেন্সি নির্ধারণ করে এর অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
আগামী বছরের হজের জন্য ৫ অক্টোবরের মধ্যে লিড এজেন্সি নির্ধারণের নির্দেশনা দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এজন্য আগামী বছর হজের জন্য যোগ্য এজেন্সিগুলোকে মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ২০২৬ সালের হজের প্রাথমিক নিবন্ধন/নিবন্ধন আগামী ১২ অক্টোবর শেষ হবে। সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর নিবন্ধন সম্পন্ন করে এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন (২ হাজার) হজযাত্রীর সংখ্যা পূরণ করে হজ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এরইমধ্যে ‘হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইন ২০২৬’ ঘোষণা করা হয়েছে। কোটা পূরণ এবং হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইনের নির্দেশনার আলোকে এজেন্সিগুলোর জরুরি ভিত্তিতে সমন্বয় করে লিড গঠন করা প্রয়োজন। ‘হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইন ২০২৬’ এর অনুচ্ছেদ ১৩ (২) ও (৩) অনুযায়ী লিড এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয়কারী সব এজেন্সি একই ধরনের প্যাকেজে হজযাত্রী নিবন্ধন করবে।
এ অবস্থায়, ২০২৬ সালের হজের যোগ্য তালিকাভুক্ত সব হজ এজেন্সিকে আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে লিড গঠন সম্পন্ন করে সরকার অনুমোদিত ‘বেসরকারি মাধ্যমের সাধারণ হজ প্যাকেজ’ বা ‘হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইন, ২০২৬’ এর নির্দেশনা অনুযায়ী অতিরিক্ত প্যাকেজ ঘোষণা করে লিড ও সমন্বয়কারী এজেন্সিগুলোকে একই ধরনের প্যাকেজে হজযাত্রী নিবন্ধনের নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন সরকারি ব্যবস্থাপনার হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন। তিনি জানান, আগামী বছর প্যাকেজ-১ এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৭ টাকা। এছাড়া হজ প্যাকেজ-২ এ ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮১ টাকা ও হজ প্যাকেজ-৩ এ ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ টাকা খরচ ধরা হয়েছে।
‘বেসরকারি মাধ্যমের সাধারণ হজ প্যাকেজ’ শিরোনামে একটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৯ হাজার ১৮৫ টাকা। সরকার অনুমোদিত এ প্যাকেজ নিয়ে এজেন্সিগুলো অতিরিক্ত দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে বলেও জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা।
আমার বার্তা/এল/এমই