বান্দরবানের রুমা-থানচি সড়কে একটি বেইলি সেতু দেবে যাওয়ায় ৪ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রুমা ও থানচি উপজেলার বাসিন্দারা।
শনিবার (১ মে) সরেজমিনে গিয়ে যায়, মিলনছড়ি নামকস্থানে দেবে যাওয়া ওই বেইলি সেতুটি বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ পথের যাত্রীরা।
জানা যায়, গত ২৮ মে সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বান্দরবানের রুমা-থানচি উপজেলা যাওয়ার পথে মিলনছড়ির একটি বেইলি সেতু দেবে যায়। সেতুটি দেবে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ তা মেরামতের জন্য যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এ দিকে বেইলি সেতু দেবে যাওয়ায় একপ্রান্তে যাত্রীরা নেমে পায়ে হেঁটে মালামাল বহন করে আবার অন্যপ্রান্তে গিয়ে যানবাহনে ওঠতে হচ্ছে। সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক না থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পাহাড়ে উৎপাদিত বিভিন্ন ফল সংগ্রহ করে তা দ্রুত বাজারজাত করতে না পারার পাশাপাশি রুমা ও থানচি উপজেলায় সবজি পরিবহনে দিতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া।
স্থানীয় এক আনারস চাষি বলেন, ‘আমরা বান্দরবানের বিভিন্ন পাহাড়ে আনারস ও আম বাগান করেছি। সেখানে ভালো ফলনও হয়েছে। তবে উৎপাদিত ফলন বাজারজাত করতে পারছি না। বিশেষ করে ব্রিজ ভাঙার কারণে ২-৩ বার গাড়ি পরিবর্তন করতে হচ্ছে।’
রুমার স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘একজন রোগীকে রুমা থেকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। ব্রিজ দেবে যাওয়ায় রোগীকে নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ পর্যন্ত গাড়িও দুইটা পরিবর্তন করতে হয়েছে।’
এ বিষয়ে কথা হয় বান্দরবান সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দীন চৌধুরীর সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রায় সংস্কারের কাজ শেষ। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে বেইলি সেতুটি মেরামত করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারবো।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশনের আওতায় রয়েছে বান্দরবানের রুমা-থানচি সড়ক। দ্রুত সময়ে এই বেইলি সেতুটি মেরামত হলে জনদুর্ভোগ লাঘব হবে বলে আশা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আমার বার্তা/জেএইচ