বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদের সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে স্থান পেয়েছেন লংগদু উপজেলার রুদ্র মুহাম্মদ জিহাদ। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা ও সাধারন সম্পাদক নাজমুল হাসান স্বাক্ষরিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন। এবং সেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে স্থান পায়। রুদ্র মোহাম্মদ জিহাদ রাংগামাটি লংগদু উপজেলা ৬নং মাইনীমুখ ইউনিয়নে গাথাছড়া গ্রামে মোঃ নজরুল ইসলাম এর ছেলে।
জানা যায় রুদ্র মোহাম্মদ জিহাদ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ রাংগামাটি জেলা সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় সংসদ সাবেক কমিটির শিক্ষাও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক নিষ্ঠার সাথে এই দায়িত্ব পালন করেন। কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়ে মোহাম্মদ জিহাদ বলেন আমি আনন্দিত আমাকে ছাত্র অধিকার পরিষদে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক কে ধন্যবাদ জানাই এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ।
আমি বিগত সময়ে রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা কালীন সদস্য সচিব ছিলাম । এর পরবর্তীতে প্রথম নির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাযই তথ্য গবেষণা সম্পাদক হিসেবে। তারপরে সেখান থেকে আমার উপর শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব অর্পিত হয় । বিগত পাঁচ বছর দেশের জন্য, দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য, এবং ছাত্রদের অধিকার নিয়ে লড়াই বলেছি। বেশ কয়েকবার ছাত্রলীগ, যুবলীগের নৃশংস হামলার শিকার হয়েছি। ২৪ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অভ্যুত্থানেও তিন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমন্বয় করেছি। ৩ তারিখ মধ্যরাতে হাসিনার পালিত পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে রাতভর নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিন পার্বত্য চট্টগ্রামে আমিই একমাত্র যিনি গ্রেফতার হয়েছিলো। আমি সৈরাচার হাসিনার প্রশাসনের ব্লাক লিস্টেড ছিলাম। যাইহোক শুকরিয়া আল্লাহর কাছে এই জলিমের পতন আমরা ঘটাতে পেরেছি।
এখন আমার উপর দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা এবং দেশকে নিয়ে যে ভাবনা তা বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা সদা প্রস্তুত থাকবো।আসলে আমি যেহেতু পার্বত্য অঞ্চলের ছেলে পাহাড়ের যে সমস্যা সেগুলো নিয়ে আমি বিগত সালেও কথা বলেছি এবং সামনেও কথা বলব।
মূলত বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিগত সালেও স্লোগান ছিল দেশের সর্বস্তরে বৈষম্য দূর করা যেখানেই বৈষম্য হয় সেখানে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সকল কর্মীরা প্রতিবাদ জানায়। ১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং ২৪ এর অভ্যুত্থান একই সুত্রে গাথা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে ২ জন প্রতিনিধি সরকারের উপদেষ্টা হয়েছেন তারাও আমার পুরাতন সহযোদ্ধা। এক সাথে ঢাকার রাজপথে স্লোগান তুলেছি আমি তাদের নিয়ে গর্ব করি তারা এখন আমার জন্য অনুপ্রেরণা।