
সাভার উপজেলার আশুলিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে কোচিং ব্যবসা বন্ধসহ মোট ৩টি পৃথক নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা। বোর্ডের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ে কোনো ধরনের অতিরিক্ত ফি, বেতন বাড়ানো যাবে না। একইসঙ্গে সব আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে এবং কোচিং বানিজ্য বন্ধের নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বোর্ডের কলেজ শাখার পরিচালক মো. রিজাউল করিম এসব নির্দেশনা দিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আশুলিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করে তিন দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে — শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড প্রণীত ভর্তি নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। কোনোভাবেই অতিরিক্ত ফি, সেশন চার্জ বা অনৈতিকভাবে ছাত্র–ছাত্রীদের বেতন বাড়ানো যাবে না।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে এবং ম্যানুয়াল রশিদ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। একই সঙ্গে ‘কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা–২০১২’ কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এসব নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নের দায়িত্ব বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও সভাপতি উভয়ের ওপর বর্তাবে।
তদন্ত প্রতিবেদনটি গত ২৮ জুলাই তারিখের একটি আদেশের সূত্র ধরে করা হয়। তদন্তে আশুলিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিষয় খোলার প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি ও নীতিমালা লঙ্ঘনের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল।
আমার বার্তা/এল/এমই

