
মালদ্বীপের কাশিধু উপকূলের কাছে একটি পণ্যবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় মো. আলমগীর (৩০) নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ ও জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী (এমএনডিএফ)।
বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কল্যাণ সহকারী মো. জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘মো. আলমগীর মালদ্বীপে আসেন মাত্র তিন দিন আগে। এর মধ্যেই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আমরা মরহুম আলমগীরের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মালদ্বীপের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে মো. আলমগীরের মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
জানা গেছে, মো. আলমগীরের দেশের বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার নন্দনিয়া গ্রামে। তার পিতার নাম মো. নজরুল ইসলাম।
মালদ্বীপ পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম সান এমভি জানিয়েছে, ‘ফয়সালা’ নামের একটি পণ্যবাহী নৌকা দ্বীপের দক্ষিণ দিক থেকে কাশিধুর দিকে যাচ্ছিল। এসময় নৌকাটিতে ১১ জন আরোহী ছিলেন, যার মধ্যে পাঁচজন স্থানীয় নাগরিক এবং বাকি ছয়জন বিদেশি।
হঠাৎ কাশিধুর উপকুল থেকে একটি পণ্যবাহী নৌকা ডুবে সব আরোহী নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে যৌথভাবে মালদ্বীপ পুলিশ ও জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী তাদের দ্রুত উদ্ধারে অংশ নেয়। এসময় নিখোঁজদের মধ্যে এক বাংলাদেশিকে মৃত অবস্থায় এবং বাকিদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
মো. আলমগীরের আত্মীয় মালদ্বীপ প্রবাসী মো. সুমন সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের পরিবার খুবই দরিদ্র। সে দেশ থেকে ঋণ করে মাত্র তিনদিন আগে মালদ্বীপে আসে। তার মধ্যে এই দুর্ঘটনা। আমরা বাংলাদেশ হাইকমিশনে আবেদন জানিয়েছি যেন আমার ভাইয়ের মরদেহ সরকারি খরচে দেশে পাঠানো হয়।’
একইসাথে বাংলাদেশ সরকারের কাছে মরহুমের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তাও চেয়েছেন তিনি।
এদিকে, এই দুর্ঘটনার পর নৌকাটির বেশিরভাগ পণ্য সমুদ্রে ভেসে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ ওই এলাকার জাহাজ চলাচলে সতর্কতা অবলম্বন করারও পরামর্শ দিয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই

