ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৫ নবীনগর সংসদীয় আসনে ধানের শীষের প্রতীকে বিএনপি'র মনোনয়ন প্রত্যাশী সালাহ্উদ্দিন ভূঁইয়া শিশির। তৃনমুল বিএনপি’র জনপ্রিয় মুখ এখন।
স্বীয় নেতৃত্বে, কেন্দ্রে ও নিজ এলাকায় নন্দিত নেতা যিনি। তিনি সু-দীর্ঘ সময় ধরে দলের কান্ডারী হয়ে কাজ করে চলেছেন সকল স্তরেই । এবার দলের হাই কমান্ডেও তার নাম আলোচনায় রয়েছে।
সরজমিন এলাকায় ঘুরে এসে দেখা গেছে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে, তৃনমুল পর্যায়েও রয়েছে তার নাম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তিনি নানা গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন, নবীনগরকে নিয়ে কি স্বপ্ন দেখছেন এবং স্বপ্নকে কিভাবে বাস্তবিক অর্থে রূপদান করবেন সেই কথাই বলছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৫ আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্ত জননেতা সালাহ্উদ্দিন ভূঁইয়া শিশির।
তিনি নবীনগরের সর্বস্তরের জনগণকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি'র উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাসাস এর সাবেক সফল সভাপতি। এছাড়াও ছাত্র রাজনীতির সোনালী ফসল এই নেতা ওয়ার্ড পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত বিভিন্ন পদে থেকে দলের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে গিয়ে বারবার কারাবরণ করেছেন। ৯০ এর স্বৈরাচার এরশাদ থেকে ২৪ এর আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সম্মুখে থেকে হামলা মামলা উপেক্ষা করে অগ্রনি ভূমিকা রেখেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বর থেকে বেড়ে ওঠা এইনেতা অল্প সময়েই হয়ে উঠেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশ্বস্ত। পাশাপাশি তিনি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সাথে গড়ে তুলেন নিবিড় সম্পর্ক। শিক্ষা-সংস্কৃতি খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ধনাশী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে বেড়ে উঠা এই শিশির সদালাপী-বিনয়ী-মার্জিত ব্যবহারে সহজেই মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেন। শহীদ জিয়ার আদর্শের বাহিরে কখনো ব্যক্তি স্বার্থে রাজনীতি ব্যবহার করেননি তিনি। বিএনপি বারবার ক্ষমতায় আসলেও তিনি থেকে গেছেন দুর্নীতি মুক্ত। তিনি বিশ্বাস করেন রাজনীতি মানেই সেবা ও ত্যাগ। শহীদ জিয়ার আদর্শে দেশপ্রেমে ব্রত হয়ে তিনি উপজেলা ও পৌর এলাকার মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করতে চান। সেজন্য একটি অনুকূল পরিবেশ এবং নবীনগরের জনগণের সার্বিক সহযোগিতা অনেক বেশি প্রয়োজন এমনটাই মনে করেন সালাহ্উদ্দিন ভূঁইয়া শিশির।
তিনি আরো মনে করেন, বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে নিয়োজিত রেখেছেন। দলীয় স্বার্থে কখনো এক চুলও বিচ্যুত হননি। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তিগত লোভ, স্বার্থ বা চাপ আমাকে আমার দায়িত্ববোধ থেকে দুর্বল করতে পারেনি।
আমি বিশ্বাস করি দলের কেন্দ্রীয় ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ আমার বিগত সকল কার্যক্রম নিষ্ঠা ও সাংগঠনিক দক্ষতা বিচার বিশ্লেষণ করে নিশ্চয়ই আমাকে যোগ্য মনে করে মূল্যায়ন করবে।
আমার জীবনে বিলাসিতা বা কোন উচ্চ আকাঙ্ক্ষা নেই। আমি সব সময় সাধারন মানুষের অধিকার ও কল্যাণকে প্রাধান্য দিয়েছি। নবীনগর বাসী দীর্ঘদিন ধরে তাদের ন্যায্য অধিকার - জ্বালানি গ্যাস থেকে বঞ্চিত, আশেপাশের উপজেলা গুলোতে যেখানে গ্যাস সরবরাহ রয়েছে, আমাদের নবীনগর এখনও সেই মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, অথচ গ্যাস আমাদের হাতের নাগালে। আল্লাহর অশেষ রহমতে যদি আপনাদের সহায়তায় আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারি, তাহলে নবীনগর বাসী তাদের ন্যায্য অধিকার জ্বালানি গ্যাস সর্বপ্রথম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌঁছে দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। পর্যায়ক্রমে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা, মানসম্মত শিক্ষা, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা এসব জনগুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব। একটি উন্নত বসবাস যোগ্য স্বপ্নের নবীনগর গড়ার লক্ষ্যে আমার এই পথ চলা। ২১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত আমাদের প্রিয় বৃহত্তর নবীনগর উপজেলার প্রতিটি সমস্যা চিহ্নিত করে তার যথাযথ সমাধানের লক্ষ্যে আমি সর্ব শক্তি নিয়োগ করব। ধারাবাহিকভাবে আধুনিক ও সময়োপযোগী নবীনগর গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাব। এই মহৎ যাত্রায় আমি আপনাদের আন্তরিক দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি। আমি জানি ভালোবাসাই অনেক কিছু অর্জন করা যায়। আপনারা পাশে থাকলে আমি ব্রাহ্মণাড়িয়ার-০৫ নির্বাচনী এলাকায় সফলতা অর্জন করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, এই উপজেলায় কোনো সন্ত্রাস ও মাদক থাকতে পারবে না।
নবীনগরকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে। এলাকায় ঘুরে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে আরো জানা গেছে, তার নিজ এলাকা পূর্বাঞ্চলের রয়েছে তার বিশাল ভোট ব্যাংক। সে হিসেবে তার একটা অবস্থান রয়েছে। যদিও এলাকায় বেশ কিছু মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন, প্রতিনিয়ত নানাবিধ জনসংযোগ, ৩১ দফায় বাস্তবায়ন করতে লিফলেট বিতরণ করে যাচ্ছে প্রত্যাকে। তবে ক্লিন ইমেজের প্রার্থীর প্রতি জনগণের আগ্রহ বেশি।