
কিছু দিন আগে বাংলাদেশে হয়ে গেলো এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। এশিয়ার ২৯টি দেশের আর্চাররা সেখানে অংশ নিয়েছিল। অংশ নিয়েছিল প্রতিবেশী দেশ ভারতও। স্বাগতিক হিসেবে আতিথেয়তায় বাংলাদেশের কমতি ছিল না। কিন্তু ভারতের আর্চাররা দেশে ফিরে কলকাতার সংবাদ মাধ্যম আনন্দ বাজারের কাছে নানান অভিযোগ দিয়েছেন। যদিও বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন সেসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ব্যাখ্যা দিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে তারা।
বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, ‘ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনে একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়া ২০২৫ টুর্নামেন্ট চলাকালে ভারতীয় দলকে নাকি স্বল্প বাজেটের হোটেলে রাখা হয়েছিল এবং যথাযথ পরিবহন দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন (বিএএফ) এসব অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে।’
এরপরই ফেডারেশন নিজেদের ব্যাখ্যায় বলেছে, ‘অংশগ্রহণকারী ২৯টি দেশের সবাইকে—ভারতসহ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ৫ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এবং ৪তারকা হোটেল হলিডে ইনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। লোকাল অর্গানাইজিং কমিটি (এলওসি) পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে প্রতিটি দলকে আন্তর্জাতিক মানের খাবার, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবহন এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে।’
ফেডারেশন আরও বলেছে, ‘ভারতীয় দলকে ১৫ নভেম্বর যথাযথ পরিবহন দেওয়া হয়েছিল, সেদিন তাদের রাত ৯টা ২০ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI-238-এ ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। দলটি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার মধ্য দিয়ে এলওসির দায়িত্ব শেষ হয়।’
ফিরতি যাত্রা নিয়ে ফেডারেশন জানিয়েছে, ‘ইমিগ্রেশন শেষ হওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটটি বাতিল করে। এটি সম্পূর্ণভাবে এয়ারলাইন–সংক্রান্ত বিষয়। ইমিগ্রেশনের পর আবাসন ও পরিবহনের আইনগত দায়িত্ব এয়ারলাইনের ওপরই বর্তায়। সে অনুযায়ী ভারতীয় দলের জন্য হোটেল ও পরিবহনের ব্যবস্থা করেছে এয়ার ইন্ডিয়াই—বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন নয়। সুতরাং ভারতীয় আর্চারি দলকে নিম্নমানের আবাসন বা পরিবহন দেওয়া হয়েছিল—এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
আমার বার্তা/এমই

