ই-পেপার বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ন্যায়ভিত্তিক জলবায়ু কার্যক্রম বাস্তবায়নের আহ্বান বাংলাদেশের

আমার বার্তা অনলাইন:
১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:২৫

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ন্যায়ভিত্তিক জলবায়ু কার্যক্রম জরুরি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিরিক্ত তাপমাত্রা, অনিয়মিত বৃষ্টি, বন্যা, আরও তীব্র ঘূর্ণিঝড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদীভাঙন এবং লবণাক্ততা– এসব প্রভাব লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করছে। সবমিলিয়ে এই সংকটে ইতোমধ্যেই কোটি বাংলাদেশিকে চরম ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) ব্রাজিলের রিও দে জানেইরোতে চলমান কপ-৩০ সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের উপ-প্রধান ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য দূরবর্তী কোনো ভবিষ্যৎ নয়, বরং এটি আমাদের জন্য দৈনন্দিন বাস্তবতায় এসে দাঁড়িয়েছে।

নাভিদ শফিউল্লাহ বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রা, অনিয়মিত বৃষ্টি, বন্যা, আরও তীব্র ঘূর্ণিঝড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদীভাঙন এবং লবণাক্ততা– এসব প্রভাব ‘লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করছে, ফসল নষ্ট করছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে প্রান্তসীমায় ঠেলে দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী মোট নিঃসরণের মাত্র ০.৫ শতাংশেরও কম অবদান থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ জলবায়ু খাতে দায়িত্ব, নেতৃত্ব এবং আশার পথ বেছে নিচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় চারটি বড় উদ্যোগ নিয়েছে বলে নাভিদ শফিউল্লাহ জানিয়েছেন। প্রথমত, জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এনডিসি ৩.০ উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বর্তমানে ২০ শতাংশ, যা ২০৩৫ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশে উন্নীত হবে– বর্তমানের তুলনায় চার গুণ বৃদ্ধি।

দ্বিতীয়ত, কৃষি ও বর্জ্য খাতে মিথেন গ্যাস নিঃসরণ কমানোর উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তৃতীয়ত, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় ১১৩টি অগ্রাধিকারমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যেখানে স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজন, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা ও কমিউনিটি সহনশীলতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। চতুর্থত, দীর্ঘমেয়াদি নিম্ন-কার্বন উন্নয়ন কৌশল প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্যারিস চুক্তির ন্যায়পরায়ণতার নীতি অনুযায়ী উন্নত দেশগুলোকে ‘জরুরি ও গভীর’ নিঃসরণ কমাতে হবে এবং জলবায়ু সহায়তা বহুগুণ বাড়াতে হবে। নাভিদ শফিউল্লাহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন শক্তিশালী সরকারি অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য, বিশেষ করে অভিযোজন অর্থায়ন বছরে ১২০ বিলিয়ন ডলারে ত্রিগুণ বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। এমন আর্থিক প্রবাহের দাবি জানানো হয়েছে যা সরাসরি সহনশীলতা, অভিযোজন এবং ক্ষয়ক্ষতির মোকাবিলাকে অগ্রাধিকার দেবে।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি বৈশ্বিক আর্থিক প্রবাহকে নিম্ন-কার্বন ও জলবায়ু-সহনশীল পথে সামঞ্জস্য করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এটি শুধু অর্থ বা কৌশল নয়, এটি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য বাধ্যতামূলক সহায়তা।’

নাভিদ শফিউল্লাহ গ্লোবাল স্টকটেকের ফলাফলও উল্লেখ করেন এবং ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস সীমাকে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার কেন্দ্রে রাখার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।

এছাড়া ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের জলবায়ু সহায়তা সংক্রান্ত পরামর্শমূলক মতামতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন, ক্ষতি প্রতিরোধ, সহযোগিতা এবং ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা– এসব বিষয়ে দেশগুলোর বাধ্যবাধকতা স্পষ্ট করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের ন্যায্যতার দাবি আরও জোরালো করছে।

বাংলাদেশ প্রতিনিধি বলেন, দেশের জন্য কপ৩০-এ আসা কেবল কূটনীতি নয়, এটি টিকে থাকার প্রশ্ন। ‘আমরা অনেক আশা ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এসেছি। বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানাচ্ছি, এই সম্মেলনকে এমন একটি মোড় ঘোরানোর মুহূর্তে পরিণত করতে যেখানে প্রতিশ্রুতি বাস্তব কর্মে রূপ নেবে এবং ন্যায়ভিত্তিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিশ্চিত হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষার জন্য এখনই সম্মিলিত সাহস দেখাতে হবে।’

উচ্চপর্যায়ের সেশনে আর্থিক সহায়তা, নিঃসরণ হ্রাসের পথনকশা, অভিযোজন লক্ষ্যমাত্রা এবং ক্ষয়ক্ষতি তহবিল কার্যকর করার বিষয়ে আলোচনা তীব্র হচ্ছে। বাংলাদেশ বিভিন্ন উদ্যোগ এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এ সেশনের ফলাফলের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।

আমার বার্তা/এমই

২১০০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা বাড়তে পারে সাড়ে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস

গ্রিনহাউজ গ্যাস কমানো না গেলে ২০৪১-২০৭০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে

ঠিকাদার নিয়োগে মহাদুর্নীতি চলমান, দ্রুত তদন্ত দাবি ভুক্তভোগীদের

# সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে মান্নান-চুন্নু # দায়সারা তদন্ত কমিটি গঠন ঢাকা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) অফিসে বিভাগীয়

বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রায় ঢাকা

সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ভারতের রাজধানী শহর দিল্লি,

শুষ্ক মৌসুম আসতেই বেড়েছে বায়ুদূষণ, শীর্ষতালিকায় ঢাকাসহ যেসব শহর

বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষ দশে জায়গা নিয়ে আছে ভারত উপমহাদেশের তিন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আয়োজন দেখে মুমিনুল ভেবেছিলেন অবসরে যাচ্ছেন মুশফিক!

বাংলাদেশকে বিজনেস ভিসা দেওয়া শুরু করেছে ভারত: প্রণয় ভার্মা

ইসির কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা করার প্রস্তাব বিএনপির

সিন্ডিকেট প্রধান হেলাল উদ্দিনের দুই খলিফার শত কোটি টাকার সম্পদ

ট্রাভেল এজেন্সি আইন সংশোধনের প্রস্তাবিত নতুন খসড়া বাতিলের দাবি আটাব সদস্যদের

বায়রার সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ

ন্যায়ভিত্তিক জলবায়ু কার্যক্রম বাস্তবায়নের আহ্বান বাংলাদেশের

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করল ডেনমার্ক

ভারতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ

নির্বাচন আয়োজনে বিভিন্ন বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

২১০০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা বাড়তে পারে সাড়ে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস

লিবিয়ায় মাদারীপুরের ৩ যুবককে গুলি করে হত্যার পর সাগরে নিক্ষেপ!

গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ: সিইসি

বঙ্গভবনের আশপাশে মোবাইল কোর্ট : ১৭ মাদকসেবী আটক

অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাস কর্তৃক অভিযান ও জরিমানা আদায়

কুমিল্লা-২ আসনে মাহফুজুল ইসলামের গণসংযোগে উজ্জীবিত বিএনপি

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের নিশ্চয়তা চায় দলগুলো, বাস্তব পদক্ষেপের দাবি

দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৮৮ জন

বিএসটিআইয়ের সব সেবা এখন পাওয়া যাবে অনলাইনে

মিয়ানমারে অনলাইন প্রতারণা চক্র গ্রেপ্তার