
বাংলা সাহিত্যের অমর গল্পের জাদুকর, যিনি তার সৃষ্টির জাদুতে পাঠক-দর্শককে মোহবিষ্ট করে রেখেছিলেন- আজ সেই কিংবদন্তি লেখক হুমায়ূন আহমেদের ৭৭ তম জন্মদিন। জন্মদিন ঘিরে প্রিয় লেখককে স্মরণ করতে নন্দনকানন নুহাশপল্লীতে হাজির হয়েছেন ভক্ত-অনুরাগীরা।
লৌকিক আর অলৌকিকতার মাঝখানে যিনি তার সৃষ্টিতে গড়ে তুলেছিলেন এক জাদুবাস্তবতার ক্যানভাস। তার সৃষ্টি এখনো ভক্তদের কল্পনায় জেগে থাকে এক ম্যাজিকাল ঘোরলাগা জগৎ হয়ে।
জন্মদিনে নুহাশ পল্লীতে তার সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি ও জিয়ারতের পর কেক কাটার মাধ্যমে হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন তার সহধর্মিণী মেহের আফরোজ শাওন ও তার পুত্ররা।
তার স্মৃতির আবেশে ভক্ত-অনুরাগীরা নুহাশ পল্লীর মাটিতেই খুঁজে ফেরেন সেই মোহনীয় জাদুকরকে। হুমায়ূন আহমেদের অস্তিত্ব আর স্মৃতিগাথা যেন এখনো মিশে আছে নুহাশ পল্লীর শতসহস্র গাছে, পুরো আঙিনা জুড়ে।
স্কুলের শিশুরাও এসেছে—হিমু, মিসির আলী কিংবা রূপাদের গল্প জানার কৌতূহল নিয়ে। জীবনের আনন্দ, বেদনা অথবা নিঃসঙ্গ জ্যোৎস্নায় অনুরাগীরাই হয়ে ওঠেন তারই সৃষ্ট কোনো অমর চরিত্র- যার মাধ্যমেই অনন্তের পথে চিরভাস্বর হয়ে ওঠেন হুমায়ূন আহমেদ।
আমার বার্তা/এল/এমই

