
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে সাতদিনে ৩৩ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদকদ্রব্যসহ দেশী-বিদেশী ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার সাথে এই দায়িত্ব পালন করছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতি এবং সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে। গত ০৪ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, ডাকাত সদস্য, কিশোর গ্যাং এবং চোরাকারবারিসহ মোট ৩৩ জন সন্দেহভাজন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো—১০টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১২টি ককটেল, বিভিন্ন ধরনের দেশী-বিদেশী মাদকদ্রব্য এবং বেশ কিছু দেশী-বিদেশী ধারালো অস্ত্র।
গ্রেফতারের পর প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রমের জন্য আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মিত টহল কার্যক্রম ও নিরাপত্তা অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। একই সাথে, শিল্পাঞ্চলে উদ্ভূত শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সেনাবাহিনীর এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো ধরনের সন্দেহজনক কার্যকলাপ নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আমার বার্তা/জেএইচ

